নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুল কলেজ অথবা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হোক বা চাকরির ক্ষেত্রে কোটা! দীর্ঘদিন ধরেই এই সকল কোটার বিরোধিতা করে আসতে দেয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে দেশের যুবক যুবতীদের একাংশকে। তারা এই কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করার পরিপ্রেক্ষিতে যে সকল দাবী তুলে ধরেছেন সেগুলি হলো, কোটা ব্যবস্থার ফলে ভর্তি থেকে চাকরি সবক্ষেত্রেই মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই কোটা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যসভায় সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছিলেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা তথা সাংসদ সুশীল কুমার মোদী। তিনি মূলত আবেদন করেছিলেন সাংসদ কোটায় দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ করার। এযাবত এই সাংসদ কোটায় দেশের ৭৮৮০ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এই কোটা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
কেন্দ্রের এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আর দেশের কোন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে সাংসদ কোটায় কেউ ভর্তি হতে পারবে না। এর আগে গত ১২ এপ্রিল এই সাংসদ কোটা ব্যবহার করে কেউ ভর্তি হওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার পাকাপাকিভাবে এই কোটা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন্দ্রের তরফ থেকে।
তবে সাংসদ কোটা বন্ধ করে দেওয়া হলেও সিআরপিএফ, বিএসএফ, আটিবিপি, সিআইএসএফ, এনডিআরএফ, এসএসবি ও অসম রাইফেলসের কর্মীদের মতো বেশ কিছু ক্ষেত্রে কোটায় ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এখনো কেন্দ্র আগের মতই ছাড় দিয়ে রেখেছে। কারণ এই সকল কর্মীদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এযাবত যে নিয়ম ছিল তাতে একজন সাংসদ একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১০ পড়ুয়ার ভর্তি হওয়ার জন্য সুপারিশ করতে পারতেন। এই সংখ্যাটি দেশের সমস্ত সাংসদদের মিলিয়ে দাঁড়ায় ৭৮৮০। স্বাভাবিকভাবেই এবার এই এত সংখ্যক শূন্যপদে পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন।