সকাল থেকে বীরভূম দাপিয়ে বেড়ালো হাতি, হানায় মৃত্যু বনকর্মীর

Himadri Mondal

Updated on:

পার্থ দাস ও হিমাদ্রি মণ্ডল : গতকাল সকাল বেলায় বাঁকুড়া থেকে দলছুট হয়ে একটি হাতি বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান বর্ডার এলাকায় হাজির হয়। এরপর দুই জেলার বনকর্মীরা ওই হাতিটিকে রাতের মধ্যে জঙ্গলে তাড়াতে সক্ষম হন। কিন্তু রাতেই আবার ওই হাতিটি ফের বীরভূমের দিকে চলে আসে। ভোরবেলা নাগাদ সে হাজির হয় পাঁড়ুইয়ের অবিনাশপুর এলাকায়।

ভোরবেলা থেকেই হাতিটিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেন বনকর্মীরা। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর হাতিটিকে তাড়াতে তারা ব্যর্থ হলে শেষমেষ তাকে ঘুম পাড়ানির ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং তারপর হাইড্রারের সাহায্যে তুলে একটি লরিতে করে বাঁকুড়া নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে বনদপ্তর।

তবে এই হাতিটি যখন অবিনাশপুর এলাকায় এসে হাজির হয় সেই সময় যাতে করে হাতিটি লোকালয়ে ঢুকে কোন ক্ষতি করতে না পারে তার জন্য বনকর্মীরা তাকে ঘিরে ফেলেন। বনকর্মীদের ঘিরে ফেলার পাশাপাশি প্রচুর মানুষের সমাগম হওয়ায় হাতিটি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এমন সময় এক বনকর্মীকে আক্রমণ করে ওই হাতিটি।

হাতির আক্রমণে আক্রান্ত হওয়া বনকর্মী হলেন খোকন প্রসাদ দে। তিনি পুরন্দরপুর বিট অফিসের একজন কর্মী। তার বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি পল্লী। পায়ে এবং বুকে গুরুতর আঘাত লাগা অবস্থায় তাকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষমেষ ওই বনকর্মীর মৃত্যু হয়।

মৃত বনকর্মীর ভাই লক্ষ্মণ প্রসাদ দে জানিয়েছেন, সকালে হাতি তাড়াতে গেলে হাতিটি তাকে আক্রমণ করে। শুঁড়ে করে আঘাত করার পাশাপাশি পিছন পা দিয়ে লাথি মারে। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউতে থাকাকালীন দুপুরবেলায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা হয়।