ফের জোড়া হাতি বীরভূমে, আতঙ্ক এলাকায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : একের পর এক হাতি এবার ঢুকে পড়ছে বীরভূমে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ প্রথম একটা হাতি ঢোকে বীরভূমের বোলপুর লাগোয়া শান্তিনিকেতনের মোলডাঙ্গা বল্লভপুর এলাকায়। যদিও সেই সময় এই এলাকা থেকে হাতিটিকে ঘুমপাড়ানির ইনজেকশন দিয়ে সুরক্ষিত হবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

এই ঘটনার দু’মাস পার হতে না হতেই গত সপ্তাহের শনিবার একটি দলছুট হাতি বাঁকুড়া থেকে এসে পৌঁছায় বীরভূম ও বর্ধমান বর্ডার এলাকায় অজয় নদের চরে। ঘটনার খবর পেয়ে দুই জেলার বনদপ্তর আধিকারিকরা এবং হুলা পার্টি রাতের মধ্যে ওই হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরান। তবে জঙ্গলে ফেরানোর পরে ফের ওই হাতিটি চলে আসে বীরভূমে।

রবিবার সকাল থেকে তাকে লক্ষ্য করা যায় পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত অবিনাশপুর এলাকায়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বনদপ্তরের কর্মীরা ওই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানির ইনজেকশন দিয়ে বাঁকুড়া নিয়ে যায়। কিন্তু এই হাতি উদ্ধার করতে গিয়ে খোকন প্রসাদ দিয়ে নামে একজন কর্মীর মৃত্যু হয়। তিনি পুরন্দরপুর বিট অফিসের একজন কর্মী এবং তার বাড়ি সাঁইথিয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজিপল্লী।

অন্যদিকে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার সকালে ফের দুটি হাতি দলছুট হয়ে প্রবেশ করতে লক্ষ্য করা যায় পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত শাকবাড়ি এলাকায়। নতুন করে দুটি হাতিকে এলাকায় দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, বন দফতরের কর্মীরা এবং হুলা পার্টি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং হাতি দুটিকে উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করে।

দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় হাতি দুটিকে ঘুমপাড়ানির ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং চোখ বেঁধে হাইড্রাইয়ের মাধ্যমে লরিতে চাপিয়ে বাঁকুড়া নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে গতকাল এক বনকর্মীর মৃত্যু হলেও এদিন তেমন কোনো অঘটন ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে। এছাড়াও হাতি দুটি এলাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি করেনি বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।