নিজস্ব প্রতিবেদন : গত বছর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার বসার পর এক বছর পূর্ণ হল।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তৃতীয়বার সরকারে প্রত্যাবর্তন করার পর এতটা মসৃণ ছিল না। কারণ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি যথেষ্ট শক্তি বৃদ্ধি করেছিল। ছিনিয়ে নিয়েছিল ১৮টি লোকসভা আসন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়ায়, যেন সেয়ানে সেয়ানে টক্কর শুরু হয়।
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী, জিতেন তিওয়ারি, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামীর মত তৃণমূল নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির ঘরে পা রাখেন। তবে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙ্গা পা নিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই শুরু করেন। আর সেই লড়াইয়ে শেষমেষ জয় যুক্ত হয় তার দল।
পরপর তিনবার রাজ্যের শাসক দল হিসাবে তৃণমূল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটি রেকর্ড করে ফেললেন যা আর কারোর নেই। কি সেই রেকর্ড তা নিয়েই এখন কৌতুহল বাংলার মানুষদের মধ্যে। এই রেকর্ডের কথা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৯৯৮ সালে।
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বতন্ত্র একটি দল তৈরি করেন যার নাম দেওয়া হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই দল গঠনের পর একচেটিয়াভাবে তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই চলতে থাকে। দীর্ঘ এই লড়াই চলার পর অবশেষে ২০১১ সালে বামেদের হারিয়ে শাসক দল হিসেবে স্বীকৃতি পায় তৃণমূল।
আর সেবার তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল হওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। এরপর টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। জাতীয় কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গঠন করার পর তিনি প্রথম পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মমতা ছাড়া এই রেকর্ড ভূ-ভারতে আর কারোর নেই।