নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্রিজ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ভারতের মতো দেশে বিরল কিছু ঘটনা এমনটা নয়। এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজ্যে ব্রিজ ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। তবে কোন ব্রিজ ভেঙে পড়ার কারণ যদি জোরে হাওয়া হয়ে থাকে তাহলে তার থেকে আর দুর্ভাগ্যজনক কিছু হতে পারে না।
হাওয়ার জোরে ব্রিজ ভেঙে পড়া যেমন দুর্ভাগ্যজনক ঠিক তেমনই অবাক করা ঘটনা। এমন এই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুলতানগঞ্জের নির্মীয়মান একটি সেতুর ক্ষেত্রে। যে সেতুটি গঙ্গার উপর তৈরি করা হচ্ছে। এই সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১৭১০ কোটি টাকা।
বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা এই নির্মীয়মান সেতুর এমন ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙ্গে পড়ার ঘটনায় গোটা দেশকে অবাক করেছে। তবে তার থেকেও বেশি অবাক করেছে আইএএস অফিসারের যুক্তি। এই সেতু ভেঙে পড়ার কারণ হিসাবে বিহারের ওই আইএএস অফিসার যে যুক্তি খাঁড়া করেছেন তাতে খোদ অবাক হয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। শুধু অবাক হওয়া নয় রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।
গঙ্গার উপর নির্মীয়মান বিহারের সুলতানগঞ্জের এই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে গত ২৯ এপ্রিল। ঐদিন কালবৈশাখীর ঝড়ে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে যখন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি খোঁজখবর শুরু করেন তখন এক আইএএস অফিসার তাকে জানান, ঝড়ো বাতাস দেওয়ার কারণেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে সেতুর একাংশ। আইএএস অফিসারের এমন যুক্তি শুনে তাজ্জব হয়ে যান নীতিন গড়করি। তারপর তিনি নিজেই সেই অভিজ্ঞতার কথা জানান।
নীতিন গড়কড়ির কথা অনুযায়ী, “গত ২৯ এপ্রিল ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। আমার সচিবকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, জোরে হাওয়া দিচ্ছিল বলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমি তো বুঝতেই পারছিলাম না কী করে স্রেফ জোরে হাওয়া দিলেই কোনও ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে! কিছু না কিছু সমস্যা তো ছিলই। মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস না করে আমাদের ভাল কাজ করতে হবে। ১৭১০ কোটি টাকা খরচে নির্মীয়মাণ একটা সেতুর একাংশ এভাবে হাওয়ার দাপটে ভেঙে পড়তে পারে না।”