নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্ব শেয়ারবাজারে টালমাটাল অবস্থা শুরু হয়েছে। এই টালমাটাল অবস্থা শুরু হওয়ার কারণে বহু দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজেহাল। অন্যান্য বিভিন্ন দেশের মতো ভারতের অর্থনীতিও সরাসরি ধাকা খেতে শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারতের টাকার দাম ডলারের তুলনায় কমছে। গত বৃহস্পতিবার ডলারের তুলনায় রেকর্ড হারে পতন হয় ভারতীয় মুদ্রার। ডলারের তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার দাম রেকর্ড পতন হওয়ার কারণে আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। ফলে এই পরিস্থিতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে।
গত বৃহস্পতিবার ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমেছে ০.৫%। এর ফলে ডলার প্রতি টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৭৭.৬৩১৩ টাকা। এই পতন গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য রেকর্ড পতন। মাঝে এই পরিস্থিতির পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কিছু সিদ্ধান্ত নিলে দাম কিছুটা বাড়ে। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গত দু’মাসে বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স সূচক ১.৮% কমে যাওয়ায় ভারতের শেয়ার বাজার নিম্নমুখী। আর এসবের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে যে সকল প্রভাব পড়ছে।
১) আমদানিকৃত তেল, ভোজ্য তেল, এবং অন্যান্য অ-কৃষি পণ্যের প্রতিটিরই দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
২) পরিবহন, মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে খাদ্য সামগ্রী এবং প্রায় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে। মোটের উপর এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব গিয়ে পড়বে আমার আপনার মত আমজনতার পকেটে। যখন ভারতীয় মুদ্রায় বেশি ডলার কেনা যায় তখন ভারতীয় অর্থনীতি মজবুত থাকে আর যখন ভারতীয় মুদ্রায় কোন ডলার কেনা যায় তখন ভারতীয় অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে।