নিজস্ব প্রতিবেদন : কোথাও যদি সবচেয়ে বিপ্লব এসে থাকে তা হল টেলিকম জগত। টেলিকম জগতে প্রথম ল্যান্ডফোন, তারপর মোবাইল ফোন। আর এই টেলি পরিসেবার ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে তা 2G থেকে পা রেখেছে 4G-তে। এখন 5G পরিষেবার অপেক্ষা। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতে চালু হয়ে যাবে এই 5G পরিষেবা।
তবে এই 5G পরিষেবা চালু হওয়ার আগেই যাতে দেশে দ্রুততার সঙ্গে 6G পরিষেবা চালু হয় তার জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করা হচ্ছে। এই বিষয়ে খোদ ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি এই বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সরকার। 3G, 4G পরিষেবার পর 5G পরিষেবা এবং তারপর 6G পরিষেবা এলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে যাবে দেশের টেলিকম মার্কেটে।
Trai-এর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি ভাষণ দেওয়ার সময় এই নানান পরিষেবা প্রসঙ্গে তার ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘৫জির ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো ও লজিস্টিক্সের মতো বহু ক্ষেত্রেরই উন্নতি হবে। এর ফলে অনেক নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।’ এছাড়াও তিনি এদিন টেলিকম ক্ষেত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ভারতে মোবাইল পরিষেবা চালু হওয়ার পর পরই 2G স্পেক্ট্রাম কেলেঙ্কারি নজরে এসেছিল। তবে পরবর্তীতে সেই দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি দূরে সরিয়ে দেশে চালু হয়েছে 3G এবং 4G পরিষেবা। আর এবার চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা। এই সকল পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও জানান, ‘২০৩০ সালের মধ্যেই যাতে ৬জি পরিষেবা শুরু করা যায়, সেবিষয়ে পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই করেছে কেন্দ্র।’
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটাও জানান, “আজ দেশের প্রতিটি গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবারের সাহায্যে যুক্ত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ১০০টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। অথচ আজ ১ কোটি ৭৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্রন্ডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। আর এর ফলে গ্রামে গ্রামে সরকারি পরিষেবা পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এই ভাবে প্রযুক্তি আজ আর কেবল একটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নেই। তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।”