জেলেও জামাই আদর সিধুর, রাজকীয় এই সকল খাবারে ভরপুর আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৪ বছর আগের একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু। এই মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এখন তার ঠিকানা হয়েছে কারাগার। তবে কারাগারের তিনি খাবারের দিক দিয়ে পাচ্ছেন জামাই আদর।

কয়েদি হিসাবে নিজের জীবন শুরু করার পর প্রথম দিন থেকেই তিনি জেলের খাবার খেতে অস্বীকার করেন। কিন্তু জানা যায় পরে তার জন্য স্পেশাল ডায়েট-এর ব্যবস্থা করা হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের পরিবেশন করা সংবাদ থেকেই জানা যাচ্ছে এমন জামাই আদর করার বিষয়টি।

১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেছিলেন সিধু। এরপরই মারা যান গুরনাম। তাতেই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুদিন আগে আদালত নভজোৎ সিং সিধুকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। তারপর থেকেই আলোচনায় উঠে আসেন এই কংগ্রেস নেতা, আর এবার তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু খাবার নিয়ে।

সঁতে করা সবজি থেকে আমন্ড, নানা রকম ফল, স্যালাড, দুধ, লস্যি মিলিয়ে একেবারে রাজকীয় খাবার দাবার পাচ্ছেন জেলের মধ্যে বসেই। সিধুর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়েই এই ডায়েট মেন্যু দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে। দিনের শুরুতেই রোজমেরি চা, নারকেলের জল। এছাড়াও রয়েছে ল্যাক্টোজ-মুক্ত দুধ, পাঁচ থেকে ছ’টি আমন্ড, আখরোট ও আরও নানা ধরনের খাবার থাকে ব্রেকফাস্টে। বেলা গড়ালে স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আপেলের মতো ফল, এক গ্লাস ঘিয়া (লাউ দিয়ে প্রস্তুত পানীয়) অথবা শসা কিংবা মুসম্বির রস, টাটকা হলুদ অথবা অ্যালোভেরার জুস। সঙ্গে থাকে কালো চানা, শসা দেওয়া সবুজ ডাল।

দুপুরের খাবার হিসাবে সিধুর মেনুতে রয়েছে চাপাটি, খেজুর, এক বাটি সবজি, সবুজ স্যালাড। এই স্যালাড তৈরি হয় শসা, টম্যাটো, কাকরি, লেটুস পাতা, লেবু দিয়ে। এর পাশাপাশি এক গ্লাস লস্যি দেওয়া হয়। সন্ধের খাবারে চিনি ছাড়া লো ফ্যাট দুধ দিয়ে তৈরি এক কাপ চা ও পনির স্লাইস অথবা লেবু দিয়ে টোফু। রাতের খাবারে থাকে মিক্সড সবজি ও ডালের স্যুপ অথবা কালো চানার স্যুপ, সঙ্গে সঁতে করা সবজি। শুতে যাওয়ার আগে আবার এক কাপ ক্যামোমাইল চা ও উষ্ণ জলে ইসবগুলের ভুসি। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, কোনও রকম প্রসেসড ফুট যেন সিধুকে না দেওয়া হয়।