মাথার উপর ছাদ নেই, ঘরের চালায় বসেই উচ্চমাধ্যমিকে অষ্টম বীরভূমের মনিরা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায় একসঙ্গে ২৭২ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকায় থাকা এই বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়েদের মধ্যে আবার বেশ কয়েকজন ছেলে মেয়ে এমন পরিবার থেকে উঠে এসেছে, যা প্রত্যেককেই এক একটি আইকন।

Advertisements

প্রথম দশে জায়গা করে নেওয়া ছেলেমেয়েদের মধ্যে কয়েক জন রয়েছেন যাদের হয় বাবা নেই, মা বিড়ি বাঁধেন, আবার কারোর বাবা সবজির ব্যবসা করে পড়াশোনা করিয়েছেন, আবার কারোর বাবা বিশেষভাবে সক্ষম, পরের সাহায্য নিয়েই পড়াশোনা করতে হয়েছে। সেই রকমই একজন হল বীরভূমের মনিরা খাতুন।

Advertisements

মনিরা খাতুন মল্লারপুর থানার অন্তর্গত জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। তার বাড়ি মুরলিডাঙ্গাল গ্রামে। এই বছর সে উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করার পাশাপাশি জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তার এই অভূতপূর্ব ফলাফলে খুশি পরিবারের সদস্যরা থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং প্রতিবেশিরা।

Advertisements

গ্রামের এক প্রান্তে একটি খড়ের চালা ঘরে মনিরা বসবাস করে। পড়াশোনার জন্য তেমন পরিকাঠামো নেই বললেই চলে। পাশাপাশি তার বাবা মহিরুল শেখ শারীরিক দিক দিয়ে বিশেষভাবে সক্ষম। মা মন্নকা বিবি গৃহবধূ। বাড়িতে রোজগেরে বলে কেউ নেই। তাদের সর্বসাকুল্যে ১৫ কাঠা জমি রয়েছে। এই ১৫ কাঠা জমিতে যা চাষাবাদ হয় তা দিয়ে তাদের কোনোক্রমে খাবারটুকু জোটে।

মনিরা ছোট থেকেই খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করে মাধ্যমিক পাস করেন। তারপর স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেন। সেই স্কলারশিপের টাকা দিয়ে তার উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা হয়। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং আত্মীয়রা পড়াশোনার জন্য আর্থিক ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। এই ভাবেই এর ওর থেকে নিয়ে মনিরা আজ এমন অভূতপূর্ব ফলাফল করলো।

Advertisements