নিজস্ব প্রতিবেদন : মার্চ মাসের শুরু থেকেই এই বছর গরমে নাজেহাল অবস্থা হতে শুরু করে রাজ্যের বাসিন্দাদের। মাঝে দীর্ঘদিন চলে তাপপ্রবাহ। তবে তারপর সাময়িকভাবে কয়েকদিন স্বস্তি মিললেও এবার বর্ষার আগে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। তীব্র গরমে এখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড় এবং বৃষ্টি হলেও তারপর হঠাৎ এই কালবৈশাখী ও বৃষ্টি বিরতি নেয়। তারপর থেকেই ধাপে ধাপে বাড়তে শুরু করে তাপমাত্রার পারদ। এখন জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে সকাল ন’টার পর থেকেই বাড়ি থেকে বেরোনো দায় হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কবে বর্ষার আগমন ঘটবে তাই এখন ভাবাচ্ছে আপামর বাঙালিকে।
বর্ষার আগমনের অপেক্ষায় বাঙালিরা থাকলেও এই নিয়ে এখনই খুব একটা আশার আলো দেখাতে পারেনি হাওয়া অফিস। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্ষার জন্য এখনো প্রায় দু’সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তবে মাঝে মাঝে কোন কোন জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। তাতে সাময়িক স্বস্তি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্ষার আগমন নিয়ে প্রথমদিকে আশার আলো দেখানো হলেও এবার কিন্তু সময়ের থেকে অনেকটা পরেই আগমন হবে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ে বর্ষা আসছে না। এমনকি কবে আসবে তা নিয়েও স্পষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি হাওয়া অফিস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী দু’দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বেশ কিছু জায়গায় বর্ষার আগমন হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় বীরভূম এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩° বেশি। একইভাবে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।