চন্দন কর্মকার : গত শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পাশাপাশি দু’বছর পর প্রকাশিত হয়েছে মেধা তালিকা। হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার সুবাদে এই বছর মেধা তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৭২ জন পরীক্ষার্থী। তবে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী মেধাতালিকায় থাকলেও অনেক পরীক্ষার্থী পাশ করতে পারে নি।
হোম সেন্টারের এই বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করতে না পারা পরীক্ষার্থীরা জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। এবার সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়লো বীরভূমেও। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করা এই সকল পরীক্ষার্থীদের একাংশ সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় সাঁইথিয়ায়।
সাঁইথিয়ার সাঁইথিয়া শশীভূষণ দত্ত বালিকা বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে সামিল হয়। স্কুলের গেটের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখায়, পাশাপাশি কিছুক্ষণের জন্য সাঁইথিয়া থেকে লাভপুর যাওয়ার রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তাদের। তাদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানলে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দেয়, যদি কোনো পরীক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাদের স্কুল থেকে এই বছর মোট ৩০০ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে ২৯০ জনকেই অনলাইনে আনসাক্সেসফুল দেখাচ্ছে। তাদের প্রশ্ন কিভাবে এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতে পারে? অবিলম্বে রেজাল্টের হার্ডকপি আসার আগে পরীক্ষায় পাশ করাতে হবে।
এদিনের এই বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ সেখানে গিয়ে ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভ তুলে দেয়।