নিজস্ব প্রতিবেদন : বিয়ের পর থেকেই অশান্তির জেরে গত পাঁচ বছর ধরে আলাদা থাকতে শুরু করেন স্ত্রী। আলাদা থাকার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে রাগে শেষমেষ শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরাল গুণধর জামাই। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত্রি ১০টার পর সিউড়ি থানার অন্তর্গত দক্ষিণ তিলপাড়ায়।
জানা যাচ্ছে, বিয়ের পর সুস্মিতা দাস গত পাঁচ বছর ধরে অশান্তির কারণে স্বামীর এসপি মোড়ের বিদেশি পাড়ার বাড়ি ছেড়ে ডাঙ্গাল পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন। পরে গত কয়েকদিন আগে তার ভাই মারা গেলে তিনি ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ পাড়ায় মায়ের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। সুস্মিতা দাস তার দুই মেয়েকে লালন পালন করার জন্য পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। তবে তিনি যেখানেই কাজ করতে যেতেন সেখানেই তার স্বামী তাকে জ্বালাতন এবং উত্ত্যক্ত করতো বলে অভিযোগ।
সুস্মিতা দাসের অভিযোগ, অশান্তির কারণে তারা আলাদা থাকলেও তার স্বামী বাবু দাস তাকে বিভিন্ন জায়গায় এসে জ্বালাতন করতেন। হেরি মাঝে গতকাল রাতে যখন তারা বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় পেট্রোল দিয়ে একটি রুমে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানোর এই ঘটনায় বাড়িতে থাকা একটি মোটর বাইক এবং জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সুস্মিতা দাস এবং তার মা মিঠু বাদ্যকরের অভিযোগ, তাদের প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়েই এই ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বরাতজোরে যে রুমে আগুন লাগানো হয় সেই রুমে তারা ছিলেন না। যে কারণে প্রাণে বেঁচে যান। তারা জানিয়েছেন, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর যখন দাউ দাউ করে সবকিছু জ্বলতে শুরু করে। সেই সময় স্থানীয়রা এসে তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুস্মিতা দাস এবং তার মা সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবু দাসের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর গতকাল রাতেই অভিযুক্ত বাবু দাসকে সিউড়ি থানার পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে বলে জানা যাচ্ছে।