গত মাস থেকে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশের পর ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়ে বসেছেন অঙ্কিতা। হাইকোর্টের তরফ থেকেই তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয় যতদিন তিনি চাকরি করেছেন তার সমস্ত টাকা মোট দুটি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে।
এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতি একেবারে সরগরম হয়ে উঠেছিল। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই অঙ্কিতা তার প্রথম কিস্তি প্রায় ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা মিটিয়ে ফেলেছেন।
হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রথম কিস্তির টাকা মিটিয়ে ফেললেও এখনো বাকি রয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির পুরো টাকা। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মন্ত্রী পরেশ অধিকারি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তারপরেও অঙ্কিতা যে স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছিলেন ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে তিনি মেয়েকে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মন্ত্রীত্বের প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি করে দিয়েছিলেন পরেশ অধিকারী।
কোন রকম কোন ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরিতে যোগদান করেছিল অঙ্কিতা। এসসিসির তরফ থেকে প্রকাশিত মেধা তালিকায় নাম ছিল না অঙ্কিতার। ২০১৭ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় তালিকা বের হতেই সবার চোখ কপালে ওঠে। পূর্বের তালিকায় থাকা ববিতা সরকারি নাম ২১ নম্বরে চলে আসে তার পরিবর্তে নাম ওঠে অঙ্কিতা অধিকারির। তার বাড়ির কাছে ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন অঙ্কিতা।
বিচারপতি নির্দেশমতো তদন্ত সাপেক্ষে গত ২০ মে চাকরি খুইয়ে বসে অঙ্কিতা অধিকারী। তারপরই আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে গত দু’বছর শিক্ষকতার সমস্ত বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রথম কিস্তি হিসাবে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ফেরত হলো অঙ্কিতাকে, এখনও বাকি টাকা ফেরত দিতে হবে।