নিজস্ব প্রতিবেদন : যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন নথির পাশাপাশি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে প্রয়োজন হয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের। তবে এবার নতুন নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা আনা হয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকে তরফ থেকে। এই নিয়ম অনুসারে এবার আর গাড়ির চালককে আঞ্চলিক পরিবহন অফিস অর্থাৎ আরটিও অফিসে যেতে হবে না পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুসারে স্বীকৃত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি থেকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর যোগ্য প্রার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এর ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যেমন অনেক সহজ হয়ে যাবে ঠিক তেমনি আবার এই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে হবে না।
এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে পরিচালনা করবে কেন্দ্র এবং রাজ্য পরিবহন দপ্তর। যে সকল ব্যক্তিরা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাদের এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সেখানে নাম নথিভুক্ত করার পর সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর সেখানে উত্তীর্ণ হলে যোগ্য প্রার্থীকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে এবং সেই আবেদনের ভিত্তিতে কোনরকম পরীক্ষা ছাড়াই শংসাপত্রের ওপর নির্ভর করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। যেমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হবে সিমুলেটর এবং ডেডিকেটেড ড্রাইভিং টেস্ট ট্র্যাক। এই সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাশ করার পর আর কোনরকম পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হবে এবং সেই শংসাপত্র দেখেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেবে আরটিও।
প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যান যেমন হালকা, মাঝারি এবং ভারী যানের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এ সকল সেন্টার থেকেই চালকদের থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল দুই ধরনের প্রশিক্ষণই দেওয়া হবে। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বেশ কয়েকটি রাজ্য এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার ক্ষেত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।