নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে এখন তোলপাড় দেশ। বিভিন্ন রাজ্যে এই সকল স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের নিয়ে নানান ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে। এই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা, বিহারের ইংরেজি বলতে না পারা শিক্ষক এবং অন্যান্যরা। সেই রকমই ফের শিক্ষককে নিয়েই একটি ঘটনা তোলপাড় করেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
কেন একজন প্রধান শিক্ষক খুলে পাঞ্জাবি পরে আসবেন? এই প্রশ্ন তুলেই তোলপাড় হয়েছে সমস্ত কিছু। শুধু এই প্রশ্ন তুলেছেন এমন নয়, পাশাপাশি ওই প্রধান শিক্ষকের বেতন কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে। বিহারের লখিসারাইতে জেলাশাসক একই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন এবং তার বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু ওই জেলাশাসক কেন এমন পদক্ষেপ নিলেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শাসকের দাবি, স্কুলে কোন শিক্ষক নেতাদের মত পাজামা পাঞ্জাবি পরে এসে পড়াতে পারবেন না। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই জেলা শাসক এমন প্রশ্ন করার পাশাপাশি কাউকে ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছেন, ওই প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার পাশাপাশি তাকে শোকজ করার।
এই ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা ওই জেলাশাসকের এমন ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই জেলাশাসক রীতিমতো ওজন শিক্ষককে ভর্ৎসনা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন তুলেছেন, কেন ওই শিক্ষককে পোশাক পরা নিয়ে এতবড় সিদ্ধান্তের পথে এগোলেন জেলাশাসক? অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি পাঞ্জাবি পায়জামা পরা অপরাধ?
Does wearing "Kurta Pyjama" by a teacher is now crime in India??
This DM is ordering 'show cause' and 'salary cut' notice just for wearing "Kurta Pyjama".
The way this English Babu DM is behaving, is it anyhow acceptable @jsaideepak and @JaipurDialogues sir?? pic.twitter.com/wr8MUsrSFV— Saurabh Pathak (@SaurabhPathakJi) July 10, 2022
এর পাশাপাশি জেলা শাসকের প্রশ্ন ছিল, কেন হেডমাস্টারের গলায় গামছা থাকবে? এর উত্তরে ওই প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলে গত ৩ দিন ধরে নেই বিদ্যুৎ। তাঁর প্রচণ্ড ঘাম হয়। আর সেই কারণেই তিনি গামছা ব্যবহার করছিলেন।
যদিও এই নিয়ে পরে জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার সিং জানান, “বুলগুদাম প্রাথমিক স্কুলে আমরা একঘণ্টা পরিদর্শন করেছিলাম। গিয়ে আমরা দেখি প্রধানশিক্ষক স্কুলের কোনও ব্যবস্থাই করেননি। তাঁর অফিসে একটি ফ্যান রয়েছে। ইলেকট্রিকের বাল্ব রয়েছে। কিন্তু কোনও ক্লাসরুমে সেই ব্যবস্থা নেই। মেয়েরা ঘামছে। কোভিডের কারণে অর্থ বরাদ্দ না হলেও আগের ফান্ড হয় ব্যবহার করা হয়নি নয়তো অপচয় করা হয়েছে।”