নিজস্ব প্রতিবেদন : আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পলাতক ললিত মোদির প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সুস্মিতা সেন। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত এই ক্রিকেট কর্তার সঙ্গে বঙ্গ তনয়া সুস্মিতা সেনের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে এখন রীতিমতো স্তব্ধ সকলে। যদিও এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত একটিও টু শব্দ করেননি সুস্মিতা সেন।
১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে ললিত মোদির সঙ্গে বিয়ে হয় মিলান মোদির। তবে ২০১৮ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান মিলান। তাদের দুজনের তিন সন্তান রয়েছে। এরপর এই সম্প্রতি সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ললিত মোদির এমন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তৈরি হয়েছে শোরগোল। অন্যদিকে মিলান মোদির সঙ্গেও সুস্মিতা সেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই অনেকেই মন্তব্য করছেন, টাকার লোভেই নাকি প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স প্রেম করছেন ললিত মোদীর সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ললিত মোদি টাকার সম্পত্তির মালিক।
ললিত মোদির সম্পত্তি সম্পর্কে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার দাবি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, অন্ততপক্ষে তিনি ৭ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার মালিক। তিনি হলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ বিজনেস টাইকুন। তবে প্রশ্ন জাগতে পারে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিভাবে এলো তার কাছে?
দেশ ছেড়ে বর্তমানে পালিয়ে গেলেও এই ললিত মোদী একসময় দেশের অন্যতম বড় বিজনেস টাইকুন ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি সামলেছেন গর্ডন ফিলিপসের ডিরেক্টর পদ। মোদী এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করেছে ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়াও ললিত মোদী নিজে ১৯৮৭-১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এছাড়াও ১৯৯৩ সালে ললিত মোদী প্রথম মোদি এন্টারটেইনমেন্ট and নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই ছিল তার জীবনে সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক পদক্ষেপ। এছাড়াও MEN ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স-এর সঙ্গে চালু করেছিলেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। এর মাধ্যমেই ভারতে ডিজনি একাধিক কনটেন্ট দেখান শুরু হয়। MEN ESPN-এর একজন ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে ১০ বছর কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি কেরালায় Sixo নামে একটি সংস্থা শুরু করেন। পাশাপাশি ললিত মোদী তাদের পারিবারিক কংগলোমারেটের প্রেসিডেন্ট হিসাবেও কাজ করেছেন। অন্যদিকে মার্লবোরো সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং ফিলিপ মরিস সংস্থাতে ললিত মোদির বাবার যথাক্রমে ৪৭% এবং ২৫.১% অংশীদারিত্ব ছিল। যদিও ললিত মোদী তা পরে বিক্রি করে দেন।