নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির বাজারে মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির সংসার চালানো অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমত অবস্থায় আবার বিদ্যুতের ইউনিটের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। এমন পরিস্থিতিতে এমন কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে যাতে করে বিদ্যুতের খরচ কমানো যায়।
১) বৈদ্যুতিক আলো না জ্বালিয়ে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলায় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রাকৃতিক পর্যাপ্ত আলো থাকা সত্ত্বেও বৈদ্যুতিক আলো জ্বলছে।
২) পড়াশোনার সময় বেশি ওয়াটের সিলিং অথবা দেওয়ালে লাগানোর লাইট ব্যবহার না করে অল্প ওয়াটের টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ বিল কম আসে।
৩) চার্জার, আয়রন, ইন্ডাকশন কিংবা মাইক্রোওভেন এইসবের কাজ হয়ে যাওয়ার পর প্লাগ লাগিয়ে না রেখে তা খুলে দিন।
৪) যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের ডেক্সটপ ব্যবহারের পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হবে। এতে বিদ্যুতের খরচ অনেক কমে যায়।
৫) ওয়াশিং মেশিনে গরম জল ব্যবহার করার পরিবর্তে ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে এবং ইস্ত্রি করার সময় জামাকাপড় আগে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
৬) টেলিভিশন পুরাতন হয়ে গেলে তা অবিলম্বে বদলে ফেলুন। কারণ বর্তমান প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন নতুন নতুন টেলিভিশন আসছে ঠিক তেমনই সেগুলির বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম।
৭) রাতের দিকে দরজা-জানলা বন্ধ করে ফ্যান চালানোর পরিবর্তে দরজা-জানলা খুলে ফ্যান চালালে ঘর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠান্ডা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে ফ্যান বন্ধ করেও দেওয়া যেতে পারে।
এ সকল ছোটখাটো বিষয়গুলি মেনে চলার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের খরচ কমার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এরপরেও যদি বিদ্যুতের খরচ না কমে তাহলে বাড়ির ওয়্যারিং সিস্টেম এবং আর্থিং অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ানকে দেখিয়ে নিতে পারেন।
