নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেওয়া টেলিকম সংস্থার নাম জিও। এই টেলিকম সংস্থা আসার আগে একটা সময় ছিল যখন ব্যবহারকারীদের মাসে এক জিবি ডেটা অর্থাৎ ইন্টারনেটের জন্য ২৫০ টাকা বা তার বেশি খরচ করতে হতো। এখন সেই টাকাতেই সারা মাস মোবাইল ব্যবহার করা যায়, আর সঙ্গে অফুরন্ত ইন্টারনেট এবং আনলিমিটেড কল।
তবে গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই টেলিকম সংস্থা জিও তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম বৃদ্ধি করে দেওয়ার কারণে বহু গ্রাহক তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। অনেকেই এই ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে জিও ত্যাগ করে অন্য কোন টেলিকম সমস্যায় চলে যান আবার অনেকেই রয়েছেন যারা মোবাইল খরচ বহন করতে না পেরে নিজেদের বাড়তি সিম কার্ড বন্ধ করে দেন।
গ্রাহকরা দিনের পর দিন মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েক মাস ধরেই দেশের বৃহত্তম এই টেলিকম সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা কম ছিল। তবে সম্প্রতি ট্রাই যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ফের আগের ছন্দে ফিরল এই টেলিকম সংস্থা। মে মাসে এই টেলিকম সংস্থা প্রায় ৩১.১ লক্ষ নতুন গ্রাহক নিজেদের ঝুলিতে পুরতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা জিওর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা এয়ারটেলও তুলনায় কম হলেও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে ১০.২ লক্ষ। তবে এই দুই টেলিকম সংস্থা গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হলেও আরেক টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন আইডিয়া দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। তারা মে মাসে গ্রাহক হারিয়েছে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ২৫৮ জন।
মে মাসের শেষে গ্রাহক সংখ্যা কাটছাঁটের পর ট্রায়ের রিপোর্ট অনুযায়ী জিওর মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ালো ৪০.৮৭ কোটি। একইভাবে এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬.২১ কোটি। অন্যদিকে ভোডাফোন আইডিয়া টেলিকম সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৮৪ কোটি।