নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার পর জন্মগ্রহণ করা প্রথম রাষ্ট্রপতি সহ একাধিক রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একেবারে নিচু তলার কর্মী থেকে দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে বসতে সক্ষম হয়েছেন। এই ১৫ তম রাষ্ট্রপতির সম্পত্তি কত চলুন দেখে নেওয়া যাক।
২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা থেকে জানা যায় দ্রৌপদী মুর্মুর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি টাকার বেশি। এর পাশাপাশি তার ১৪ লক্ষ টাকার দেনা ছিল সেই সময়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যসবন্ত সিনহা ২০০৯ সালে শেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং সেই সময় তিনি যে হলফনামা দাখিল করেছিলেন তা থেকে জানা যায়, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি টাকারও বেশি। সেই সময়ই এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার পাশাপাশি তার কোনরকম দেনা ছিল না।
২০১৪ সালের হলফনামা অনুযায়ী, দ্রৌপদী মুর্মুর নিজস্ব কোন গাড়ি ছিল না। তবে তার নামে একটি বাড়ি ছিল। বিয়ের পর সেই বাড়িতেই তিনি বসবাস করতেন স্বামী সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু স্বামী ও সন্তানের মৃত্যুর পর তিনি ওই বছর বাড়িতে একটি স্কুলে রূপান্তরিত করেন। প্রতিবছর তাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি সেখানে যান এবং পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটান।
যতই কাজ থাকুক না কেন দ্রৌপদী মুর্মু প্রতিদিন ভোরবেলায় হাঁটাচলা, যোগব্যায়াম করা বাদ দেন না। প্রতিদিন ভোর সাড়ে তিনটের সময় তিনি ঘুম থেকে ওঠেন এবং সময়ের বিষয়ে তিনি খুব একনিষ্ঠ বলে জানা যায়। জানা যায় তিনি কোথাও কোনদিন দেরিতে পৌঁছাননি।
তার সঙ্গে সব সময় একটি বই থাকে বলে জানা যায়। সেটি হলো শিবের স্তবের বই। ধ্যান করার সময় তিনি শিব স্তব করে থাকেন। দ্রৌপদী মুর্মু গ্রামের পড়াশোনা শেষ করার পর ভুবনেশ্বর রামাদেবী মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন এবং পরে শিক্ষিকা হিসাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন।