নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থা হিসেবে জিও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করলেও, একটা সময় ছিল যখন গ্রাহকরা BSNL-এর উপরেই নির্ভর করে থাকতেন। তবে সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারার কারণে তারা অন্যান্য টেলিকম সংস্থার তুলনায় পিছিয়ে পড়ে।
এবার এই টেলিকম সংস্থা অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে চলেছে Tata সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। তারা দেশে আনতে চলেছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট। 4G পরিষেবার মাধ্যমেই এই দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করবে রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম সংস্থা। তবে গোটা দেশে এই পরিষেবা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা যাচ্ছে।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম সংস্থার তরফ থেকে দেশের সর্বত্র এই 4G পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় নিতে পারে। তবে 4G পরিষেবার পাশাপাশি তারা দেশে 5G পরিষেবা চালু করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়ে নিতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার জন্য রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম সংস্থা হাত মিলিয়েছে Tata Consultancy Services (TCS) -এর সঙ্গে। TCS -এর চিফ অপারেটিং অফিসার এন গণপতি সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমরা BSNL-এর সাথে স্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনার বিষয়ে কথোপকথন শেষ করতে প্রস্তুত। চলতি বছরের শেষের আগেই প্রথম ব্যাচের সরঞ্জাম মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক ধাপে পরীক্ষা চলবে। এখনও পর্যন্ত প্রক্রিয়া মসৃণ ভাবেই চলছে।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম সংস্থার 4G পরিষেবা প্রাথমিকভাবে চলতি বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ লঞ্চ হয়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। এই 4G পরিষেবা চালু হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি 5G পরিষেবার বিষয়েও প্রারম্ভিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে এই টেলিকম। তবে সেই বিষয়ে আগেই বোঝা যাবে আগামী ২৬ জুলাই, কারণ ওই দিন রয়েছে 5G স্পেক্ট্রাম নিলাম।