নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে বারংবার মুখোমুখি হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। তবে বারবার তিনি কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেও যেন রেহাই পেয়ে যাচ্ছিলেন। শেষমেষ তিনি গ্রেপ্তার হন ইডির হাতে।
কয়েক দিন ধরেই ইডি তার বাড়িতে হানা দেবে এমন প্রস্তুতি প্রায় নিয়েই রেখেছিল। সেইমতো গত সপ্তাহের শুক্রবার একসঙ্গে ১৩-১৪ জায়গায় হানা দেয়। এত সকালে তাদের এই হানা, যা রীতিমতো চমকে দেওয়ার। সাত সকালে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আগে থেকে টার্গেট করা ব্যক্তিদের আস্তানায় হানা দেয়। অতর্কিত এই হানাতেই উঠে আসে একের পর এক তথ্য।
ওই দিনই পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ, এছাড়াও বিদেশী মুদ্রা, সোনা, প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট, ডায়েরি, বিভিন্ন নথিপত্র এবং সম্পত্তির কাগজপত্র। তালিকায় এছাড়াও রয়েছে আরও বেশ কিছু জিনিস। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে এই সকল নথি উদ্ধারের পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেও অনেক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে যে সকল জিনিসপত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তা হল, এসএসসি নিয়োগের বেনিয়মের ১৭টি নথি, নিয়োগ পত্রের সুপারিশ ও বদলির কাগজপত্রের ফটোকপি, চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ফলাফলের সংশোধিত ফটোকপি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির দেওয়া নোট, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার সম্ভাব্য শিক্ষকদের তালিকা, চাকরিপ্রার্থীদের সম্ভাব্য পোস্টিংয়ের তালিকা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের শীর্ষকর্তাদের একাধিক নথি। এই সকল সমস্ত কাগজপত্র এবং নথি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
এই সকল নথি উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে থাকার পাশাপাশি অনুমান করা হচ্ছে, প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও যে সকল বিনিময়ের অভিযোগ রয়েছে সেখানেও জড়িত প্রাক্তন এই শিক্ষা মন্ত্রী!