নিজস্ব প্রতিবেদন : অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা যশবন্ত সিনহার সঙ্গে ২০১৪ সালের পর বিজেপির দূরত্ব তৈরি হলে শেষমেষ বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি। বিজেপি ত্যাগ করার পর মোদী শাহকে একের পর এক আক্রমণ করার পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা।
সম্প্রতি যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সেরকম কোনো প্রার্থী পাচ্ছে না সেই সময় যশবন্ত সিনহা সাহস দেখিয়ে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার আগে তিনি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিসাব অনুযায়ী দ্রৌপদী মুর্মুর জয় একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। সেইমতো তিনি জয়লাভ করেন এবং পরাজিত হন যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত সিনহা পরাজিত হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন তাহলে কি তিনিই ফের তৃণমূলের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন তিনি।
যশবন্ত সিনহা বিরোধী দলগুলির সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচনে বহু বিধায়ক, সাংসদ তার থেকে সমর্থন ছড়িয়ে নেন। এতেই অভিমানী ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। সেই অভিমান থেকেই এবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আর কোন রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দেবেন না।
যশবন্ত সিনহা জানিয়েছেন, কোন রাজনৈতিক দলে যোগ না দিয়ে তিনি এবার নির্দল হিসেবেই থাকতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি আর কোনও দলে যোগ দেব না। আমি নির্দল হিসেবেই থাকব।’ জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। আর এখন অর্থাৎ নির্বাচনের পর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের কয়েকজনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।