নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশে এই দুর্নীতির মামলায় তদন্তে নামে সিবিআই এবং ইডি। এরপরেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং কয়েক কোটি টাকার সোনা ও অন্যান্য বহু মূল্যবান জিনিসপত্র।
এই ঘটনার পরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই দলের একাংশ মুখ খুলতে শুরু করেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শৃংখলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঢাল তরোয়াল দুটিই কেড়ে নেওয়া হয়। মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দলের সমস্ত পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি এই মামলার তদন্ত যতদিন চলবে ততদিন তাকে সাসপেন্ড রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের জন্মলগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৮ সাল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন দলের মহাসচিব। এছাড়াও দলের চারটি পদ সামলাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য, দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্য, দলের জাতীয় সহ-সম্পাদক ছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি শিল্পমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন।
এই পদক্ষেপ গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জনতার কাজের স্বার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এই সকল পদ থেকে সরানো হয়েছে। তবে বিরোধীরা এই বিষয়টি নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েন নি।
বিকাশ রায় চৌধুরীর কথা অনুযায়ী, ‘পার্থ তো এই টাকা নিজের জন্য করেনি। এটা তৃণমূল দলের টাকা। তৃণমূল দলের সমস্ত অপকর্ম, পার্থ তাদের মহাসচিব ছিলেন। শৃঙ্খলারক্ষার কমিটির চেয়ারম্যান। মন্ত্রিসভার দুই নম্বর। যতই চেষ্টা করুক, এসব করে ঝেড়ে ফেলা যাবে না। আসল অপরাধী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঝেড়ে ফেলুন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেভাবে ব্যবস্থা নিক, তবেই একমাত্র রেহাই। অন্য কোনও রাস্তা নেই।’