নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপরিবহনের মেরুদন্ড রেল পরিষেবার ওপর নির্ভর করে ভারতের মতো দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। প্রতিদিন যাতায়াত করার কারণে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই পরিষেবাকে স্বচ্ছ সুন্দর করার পরিকল্পনা চলছে প্রতিনিয়ত। তবে ভারতীয় রেল যেমন পরিষেবাকে সুন্দর করার প্রচেষ্টা রয়েছে ঠিক তেমনি যাত্রীদেরও অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।
আবার প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ এই রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করলেও ট্রেনের মধ্যে এমন কিছু কোড রয়েছে যা তাদের জানা নেই। আবার অনেকেই এগুলি সম্পর্কে উপর থেকে হালকা করে জানেন। তবে আবার অনেকের মধ্যেই কৌতুহল রয়েছে এ সকল বিষয় সম্পর্কে জানার।
ট্রেনের ক্ষেত্রে এসএল, ওয়ানএ, টুএ, থ্রিএ, টুএস, সিসি এবং ইসি কোডগুলি থাকতে দেখা যায়। টিকিট বুকিং করার সময় এই কোডগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে এই কোডগুলির মাধ্যমেই একজন যাত্রীকে বেছে নিতে হয় তিনি কি ধরনের শ্রেণীতে যাত্রা করবেন এবং আসন সংরক্ষণ করবেন।
SL : ভারতীয় রেলের এসএল-এর অর্থ হল স্লিপার। এই শ্রেণি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং অধিকাংশ মানুষ এই শ্রেণীর উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা দূরে যাত্রা করে থাকেন। যে সকল যাত্রীরা বাজেটের যাত্রা করতে চান তারা এই শ্রেণী বেছে নেন।
A1 বা EC ক্লাস : এটি হলো ফাস্ট ক্লাস এসি কামরা। শতাব্দি এক্সপ্রেসে একে এক্সিকিউটিভ ক্লাস বা ইসি বলা হয়ে থাকে। এই ক্লাসের টিকিট বুকিং করতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় এবং এর খরচ একটি ফ্লাইটের টিকিটের থেকেও বেশি হয়ে থাকে।
2A : এসি টু টিয়ার-এর আরেকটি নাম হলো টুএ। এ ওয়ান ক্লাসের মত এই ক্লাসেও সিটগুলি খুব আরামদায়ক হয়ে থাকে। এই ক্লাসের টিকিটের দামও বেশ ব্যয়বহুল।
3A : থ্রি টিয়ার এসির জন্য এই 3A। এসি স্লিপার ক্লাসের কোচের ক্ষেত্রে এই শ্রেণী সবচেয়ে সস্তা। এই শ্রেণীতে আসন সংখ্যা কোচের উপর নির্ভর করে। তবে এক একটি কোচে ৬৪ থেকে ৭২ টি আসন হয়ে থাকে।
2S : ভারতের রেলে এটিকে সেকেন্ড সিটিং বলা হয়ে থাকে। এটি হলো সবচেয়ে সস্তায় উপলব্ধ সিটিং ক্লাস। অল্প দূরত্বের যাত্রার ক্ষেত্রে এই সিটিং ক্লাস বেছে নেওয়া যেতে পারে।
CC : ভারতীয় রেলে এটি হলো এসি চেয়ার কার। 2C এর তুলনায় এর আসনগুলি বেশ আরামদায়ক। তবে বহুদূরের রাস্তা যাতায়াত করার ক্ষেত্রে এই শ্রেণী বেছে না নেওয়ায় ভালো।