নিজস্ব প্রতিবেদন : হু হু করে নেতা মন্ত্রীদের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলতে দেখা যায় আমজনতাকে। তবে সম্প্রতি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি সামনে আসার পর এই অভিযোগ যে নিছক অভিযোগ নয় এমনটাই প্রমাণ করে।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে মোট উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ। এই নগদ টাকা ছাড়াও সোনা দানা, অন্যান্য দামি জিনিসপত্র এবং সম্পত্তির হিসাব নিকেশ তো আছেই। এই সকল হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চলছে চর্চা সেই সময় নতুন করে উঠে এলো ১৯ নেতা মন্ত্রীর নাম। কিভাবে শাসকদলের এই সকল নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি হু হু করে বাড়ছে তা জানতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন জনৈক এক ব্যক্তি।
তালিকায় থাকা এই ১৯ নেতা মন্ত্রীর সম্পত্তি নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জল গড়ানোর পাশাপাশি ওই আবেদনকারীর তরফ থেকে করা আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে নেতাদের দেওয়া হলফনামার হিসেব অনুযায়ী পরবর্তী কয়েক বছরে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ২০১৭ সালে করা এই মামলায় আগেই যুক্ত হয়েছিল আয়কর দপ্তর আর এবার এদিনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজশ্রী।
২০১৭ সালে শাসক দলের নেতাদের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি এবং আয়ের উৎস নিয়ে সমস্ত কিছু যাচাই করার জন্য পিটিশন দাখিল করেছিলেন বিপ্লব কুমার চৌধুরী। একই ইস্যুতে আরও একটি মামলা দায়ের করেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে এই মামলায় ১৯ জন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীর নাম রয়েছে।
এই তালিকায় যে সকল শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে আবার কয়েকজন ইতিমধ্যেই প্রয়াত। তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্ত, গৌতম দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, মদন মিত্র। এছাড়াও রয়েছেন প্রথম সারির একাধিক নেতা নেত্রী। প্রয়াত মন্ত্রীদের মধ্যে হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ওসাধন পাণ্ডে।