পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরে যে রত্নভাণ্ডার রয়েছে তাতে কি আছে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরে বছরের বিভিন্ন সময় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীদের আগমণ ঘটে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুন্যার্থীদের আগমণ ঘটলেও এই জগন্নাথ দেব মন্দিরে সবচেয়ে বেশি আগমণ হয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। জগন্নাথ দেবের টানে বছরের বিভিন্ন সময় ভক্তরা এখানে আসেন।

Advertisements

পুরীর এই জগন্নাথ দেব মন্দির নিয়ে রহস্যের কমতি নেই। মন্দির নিয়ে রয়েছে নানান রহস্য, ঠিক সেই রকমই আরও একটি রহস্য হল এখানকার রত্ন ভান্ডার। এই রত্ন ভান্ডার নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে অজস্র কৌতূহল। শেষবার এই রত্ন ভাণ্ডারের সম্পদের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। এরপর ১৯৮৪ সালে এই রত্ন ভান্ডার পুরো খোলা হয়।

Advertisements

পুরীর জগন্নাথ দেব মন্দিরের এই রত্ন ভান্ডারে রয়েছে মোট সাতটি ঘর। সেই ঘরগুলি আনুমানিক ২০ ফুট বাই ২০ ফুট আয়তনের। এখানে রয়েছে আলমারি এবং তিন চারটি ট্রাঙ্ক। তবে তাহলেও এই রত্নভাণ্ডার নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ১৯৮৪ সালে এই রত্নভাণ্ডারের আংশিক পরিদর্শন করা হয়েছিল।

Advertisements

সেই সময় এই রত্নভাণ্ডারের সাতটি ঘরের মধ্যে তিনটি ঘর পরিদর্শন করা হয়। ১৯৮৫ সালে এই ঘরগুলি মেরামতি করার জন্য এএসআই মন্দিরের ভিতরের কক্ষগুলি খোলার চেষ্টা করেন, তবে তাদের সেই চেষ্টায় মাত্র দুটি কক্ষ খোলা সম্ভব হয়। তবে ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজা গজপতি রামচন্দ্র দেবের তৈরি করা একটি তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, এখানে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।

সেই সময়ের দেওয়া তালিকা থেকে জানা যায়, জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার সোনার মুকুট সহ ১৫০টি সোনার অলঙ্কার সহ ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে এই ঘরে। সোনার অলঙ্কারগুলির মোট ওজন ১৫ কেজির বেশি। মন্দিরের কোষাগারে রয়েছে সোনার হার, মূল্যবান রত্ন পাথর, সোনার থালা, মুক্তা, হীরা, প্রবাল ও রূপোর সামগ্রী। জগন্নাথ মন্দির আইন অনুযায়ী, রত্ন ভাণ্ডার প্রতি ৩ বছর পর পর অডিট করা প্রয়োজন।

Advertisements