নিজস্ব প্রতিবেদন : উৎসব হোক অথবা আনন্দমুখর দিন, অধিকাংশ মানুষকেই দেখা যায় রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের খাবারের গুণগত মান এবং পরিষেবার দিকে নজর রাখতে দেখা যায়। কিন্তু সেই সকল রেস্তোরাঁর বয়স কত সেসব নিয়ে অতটা মাথা ঘামাতে দেখা যায় না তাদের। মাথা না ঘামালেও দেশে এমন কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেগুলির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি।
১) দোরাবজি অ্যান্ড সন্স : এই রেস্তোরাঁটি অবস্থিত পুণেতে। পুনেতে যে সকল রেস্তোরাঁ রয়েছে তার মধ্যে প্রাচীনত্মের দিক দিয়ে অন্যতম হলো এই রেস্তোরাঁ। এর প্রতিষ্ঠা হয় দোরাবজি অ্যান্ড সন্স রেস্তরাঁ ১৮৭৮ সালে সোরাবজি দোরাবজির হাত দিয়ে। তিনি প্রথম একটি চায়ের দোকান চালাতেন এবং তার চায়ের স্বাদ ছিল নামকরা। এরপরই তিনি এই রেস্তোরাঁ খোলেন।
২) গ্লেনারিজ : গ্লেনারিজ রেস্তোরাঁটি অবস্থিত দার্জিলিংয়ে। এর বয়স ১৩০ বছরের বেশি। বয়সের দিক ছাড়াও এই রেস্তোরাঁর খাবারের গুণগত মান সেরার সেরা তকমা পেয়েছে।
৩) তুন্ডে কাবাবি : ভারতের ১০০ বছরের বেশি যে সকল রেস্তোরাঁগুলির নাম উঠে আসে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তুন্ডে কাবাবি। এই তুন্ডে কাবাবিটি উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে অবস্থিত। বাবুর্চি হাজি মুরাদ আলি ১৯০৫ সালে এই রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে মনে করা হয়।
৪) করিমস : পুরাতন দিল্লির জামা মসজিদের কাছে এই রেস্তোরাঁটির প্রতিষ্ঠা ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। এই রেস্তোরাঁ খাঁটি মোগলাই পরিবেশনের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও কাবাব, তন্দুরি ভরা, মাটন কোর্মা, মাটন স্টু, চিকেন মোগলাই এবং চিকেন জাহাঙ্গিরি চেটেপুটে খান এই রেস্তোরাঁর গ্রাহকরা।
৫) লিওপোল্ড ক্যাফে অ্যান্ড বার : ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল লিওপোল্ড ক্যাফে অ্যান্ড বার। এটি রয়েছে মুম্বাইয়ে। ছিমছাম অথচ আরামদায়ক পরিবেশের জন্য এই রেস্তোরাঁ বিখ্যাত।