নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। তার এই গ্রেপ্তার হওয়ার পর উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার গ্রেফতার হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার ফের তার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গেলেও ১০ মিনিটের মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে সিবিআই।
অন্যদিকে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ার পাশাপাশি অনুব্রতর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসবের পরই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একটি বোলপুরের শাখায় পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে প্রায় ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ অনুব্রত মণ্ডল, তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং তার আত্মীয়দের নামে ছিল বলে জানা যাচ্ছে সিবিআই সূত্রে।
তদন্তকারী আধিকারিকদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত করা মোট ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থের পরিমাণ হল ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ। গরু পাচার কাণ্ডে যে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে তারই কিছু অংশ ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল এই সকল অ্যাকাউন্টে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি করে সিবিআইয়ের তরফ থেকে ওই সকল অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত করে দেখছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোথায় থেকে কিভাবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ এলো। তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই প্রথম এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হলো।
এর পাশাপাশি বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। যেখানে বলা হয়, সুকন্যা মণ্ডল টেট পরীক্ষায় পাস না করেও প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সমস্ত নথি নিয়ে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, কোন টাকা ফিক্সড ডিপোজিট থাকা মানে তা সম্পূর্ণ সাদা।