নিজস্ব প্রতিবেদন : এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ভ্রমণ অথবা জরুরী কাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যেমন নির্ভরযোগ্য ট্রেন, ঠিক তেমনি নির্ভরতার আরেক নাম হলো বিমান। তবে বহু বিমান সংস্থার দিকে অভিযোগ করা হয় দেরিতে বিমান ছাড়া অথবা বিমান বাতিল হওয়ার। এবার এই নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিল DGCA।
DGCA এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন বিমান দেরিতে রওনা দিলে অথবা বাতিল হলে সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সমস্ত রকম সুবিধা দিতে হবে বিমান সংস্থাকে। এমনকি বোর্ডিং করতে না দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে যাত্রীদের। একাধিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা কনফার্মড টিকিট নিয়ে আসা সত্ত্বেও তাদের বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না।
DGCA এর তরফ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের যে সকল অভিযোগ রয়েছে অর্থাৎ কনফার্মড টিকিট নিয়ে আসা সত্ত্বেও তাদের বোর্ডিং করতে দেওয়া হয়নি তা একেবারেই ঠিক নয়। এই ধরনের কাজের ফলে এভিয়েশান ইন্ডাস্ট্রির বদনাম হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটবে অর্থাৎ যাত্রীদের বোর্ডিং করতে দেওয়া হবে না অথবা বিমান বাতিল বা দেরির মতো ঘটনায় যাত্রীদের ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ এবং অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে। এই নির্দেশিকা না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এমনকি ওই বিমান সংস্থাকে জরিমানার সম্মুখীন করা হতে পারে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, বিমান বাতিল হলে অন্ততপক্ষে দু’সপ্তাহ আগে যাত্রীদের জানাতে হবে। যাত্রীর সম্মতি রয়েছে এমন বিকল্প ফ্লাইটের ব্যবস্থাও করে দিতে হবে।
DGCA এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি দু’সপ্তাহ পরে অথবা ২৪ ঘন্টা আগে বিমান বাতিলের যাত্রীদের জানানো হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে অথবা টাকা ফেরত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীরা যা পছন্দ করবেন। এছাড়াও বিকল্প যে বিমানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে সেই বিমান যদি যাত্রীরা মিস করেন সেক্ষেত্রেও পুনরায় বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে যে সকল যাত্রীরা সঠিক ইমেল আইডি এবং সঠিক ফোন নম্বর দেবেন না তারা এই সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।