নিজস্ব প্রতিবেদন : দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ১৬ দিন। এখন তার ঠিকানা আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগার। তবে এরই মধ্যে খর্ব করা হলো অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা। তিনটি বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার পর এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
অনুব্রত মণ্ডলের হাত থেকে তিনটি বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব এখন দেওয়া হয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে। বৃহস্পতিবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এই নিয়ে বৈঠক হয় এবং সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সীও। নেতৃত্বের মিলিত সিদ্ধান্তের পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব এবার সামলাবেন এলাকার নেতৃত্বরা। আগে এই তিনটি বিধানসভার দায়িত্ব দীর্ঘদিন ধরেই সামলাতেন অনুব্রত মন্ডল। এবার এই তিনটি বিধানসভার দায়িত্ব সামলাবেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিকভাবে এই তিনটি বিধানসভা তাদের পূর্ব বর্ধমান এলাকায় রয়েছে। এখন সাংগঠনিকভাবে এই তিনটি বিধানসভার দায়িত্ব তাদের হাতে আসার ফলে সুবিধা অনেকটাই বাড়বে এবং কাজ ভালো হবে বলেও দাবি করেছেন তারা।
এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া বার্তায় জানানো হয়েছে, বিরোধীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অথবা সাধারণ মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটের পাশাপাশি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সাংগঠনিক দিক দিয়ে দলকে শক্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।