নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের অন্যতম শিল্পপতিদের তালিকায় যার নাম আসে তিনি হলেন রতন টাটা। শুধু দেশ নয় বিদেশের মাটিতেও তার পা পড়েছে। শিল্পপতি ছাড়াও তিনি দেশের যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি তার কথা শোনা যায় দেশের ধনীতম ব্যক্তিদের মুখে।
দেশের শিল্পপতি অথবা ধনীতম ব্যক্তিদের বিষয় নয়, পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসায়ী এলন মাস্কের মুখেও শোনা যায় রতন টাটার রতন টাটার অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধির প্রশংসা। তবে এত অভিজ্ঞ একজন শিল্পপতি এবং এতদিনের শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এমন ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ শুনলে চমকে যাবেন!
রতন টাটা ১৯৯০ সাল থেকে টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান। তার এই সময় কালে তিনি তাদের গোষ্ঠীর ব্যবসা উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে রতন টাটার বেতন কত? এই প্রশ্নের উত্তর শুনলে যে কাউকেই একটু হলেও থমকে যেতে হয়। বেতনের দিক দিয়ে বিচার করলে রতন টাটার বেতন অন্যান্য গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কেমন আদানি, আম্বানির ধারে কাছে আসে না।
২০২১ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় রতন টাটা রয়েছেন ৪৩৩ নম্বরে। এত বড় একটি সংস্থার চেয়ারম্যান হয়েও সম্পত্তির প্রতি লোভ না থাকাই যেন রতন টাটা এই ধনীদের তালিকায় এত পিছনে এসে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই অবাক লাগতে পারে কিভাবে তিনি এত পিছনে এলেন।
এই উত্তর খুব সহজ। কারণ টাটা গোষ্ঠীর অধিকাংশ সংস্থার মালিক তারা নন, বরং বিভিন্ন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। রতন টাটার হাতে খুব অল্প সংখ্যক সংস্থার মালিকানা রয়েছে। পাশাপাশি রতন টাটা নিজেও সেবা সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত। বছরের বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজে মোটা অংকের টাকা বিলিয়ে থাকেন। সম্পত্তির বড় অংশ দান ধানের কাজে লাগিয়ে দেওয়ার কারণেই তিনি আজ এত পিছনে।
ভারতের ধনকুবেরদের মধ্যে আম্বানি অথবা আদানের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে রতন টাটার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫০০ কোটি টাকা। সেই জায়গায় গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ কিছুটা কম। তবে রতন টাটাও চাইলে এদেরকে টপকে যেতে পারতেন।