বাংলাতেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির, কি কি দেখা যাবে এখানে

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেশে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে লক্ষ লক্ষ মন্দির। যে কারণে ভারতকে মন্দিরের দেশ বলেন অনেকেই। পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির, ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির, তিরুমালার ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির, বিষ্ণুপদ মন্দির প্রায় সকলেই জানেন। এই সকল মন্দিরের সৌন্দর্য এবং ভাস্কর্য বছরের পর বছর ধরে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

Advertisements

ভারতে এই বিপুল সংখ্যক মন্দিরের পাশাপাশি কম্বোডিয়ায় আঙ্কোরভাট মন্দিরের মাহাত্ম্য কম নয়। এই মন্দির ৪০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সম্ভবত এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির এটিই। তবে এবার এই মন্দিরকে টপকে সম্ভবত বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির তৈরি হতে চলেছে বাঙলাতেই। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যেই মায়াপুরের এই মন্দির ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

Advertisements

সাদা মার্বেল পাথর দিয়ে গম্বুজাকৃতি তাজমহল ও ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রালের থেকেও অনেক বড় কাঠামো হতে চলেছে এই ইস্কন মন্দিরের। এই মন্দিরটি ২০২২ সালেই তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্মাণকার্য বিলম্বিত হয় এবং তা উদ্বোধনের জন্য দু’বছর পিছিয়ে দিতে হয়। ২০১০ সালে নির্মাণ কার্য শুরু হওয়া এই মন্দির নির্মাণে খরচ হবে কমকরে ১০০ মিলিয়ন ডলার।

Advertisements

দেখার কি কি থাকবে?

ভাগবত গীতার বর্ণনা অনুসারে আমাদের গ্রহমণ্ডলের ঘূর্ণায়মান বৃহদাকার মডেল।

উচ্চতর বিদ্যার্জন ও গবেষণার জন্য মন্দির। আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান, যা ভারতের আধুনিক বিজ্ঞান ও ভারতের সনাতন জ্ঞানের মধ্যে আলাপ আলোচনার সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়ের ভার নেবে।

নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে সকলে বৈদিক সৃষ্টিতত্ত্ব এবং হিন্দু পুরাণ সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এখানে।

এই মন্দিরটি নির্মাণ করা হচ্ছে ৪০০ একর জমিতে। তবে মোট জায়গা রয়েছে ৭০০ একর। এই মন্দিরটি এতটাই বড় হতে চলেছে যে প্রার্থনা গৃহে একসঙ্গে ১০ হাজার জন উপস্থিত থেকে প্রার্থনা করতে পারবেন।

Advertisements