নিজস্ব প্রতিবেদন : কমবেশি অপরাধমূলক ঘটনা দেশের প্রতিটি শহরেই হয়ে থাকে। তবে এই সকল অপরাধকে ঠেকিয়ে অপরাধমূলক ঘটনাকে রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে অনেক শহর। দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে নিয়ে এইরকম একটি সমীক্ষায় উঠে এলো দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের নাম এবং দেশের সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক শহরের নাম।
ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো এই সমীক্ষা চালিয়েছে দেশজুড়ে। সেই সমীক্ষা থেকেই সোমবার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় উঠে এসেছে, কলকাতা হলো দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর। অন্যদিকে এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক শহরের তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে দিল্লি। বিশেষ ও স্থানীয় আইনের ক্ষেত্রেও কলকাতায় অপরাধের হার অনেক কম। একইভাবে দিল্লিতে অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি।
২০২১ সালের এনসিআরবি যে রেকর্ড প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, এক লক্ষ জনসংখ্যার কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা মাত্র ৯২.৬। সেই জায়গায় একই জনসংখ্যার নিরিখে দিল্লিতে অপরাধের সংখ্যা ১৭৭১.৭। হিসাব অনুযায়ী কলকাতার তুলনায় দিল্লিতে অপরাধের সংখ্যা ১৯ গুনের বেশি।
এই তালিকায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসাবে অপরাধের হার লাখে হায়দরাবাদে ২৩১.৭, কানপুরে ২৪৭.৮, মুম্বইয়ে ৩৪৫.৯, গুজরাতের আমেদাবাদে ৩৮৮.৩, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ৪৮৮.৬, চেন্নাইয়ে ৫২৯.৯, সুরাতে ৭০০, রাজস্থানের জয়পুরে ৭৫৯.৫।
এই তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছর কলকাতায় খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪৫টি। তবে কলকাতার তুলনায় দেশের অন্যান্য শহরগুলিতে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। লখনউয়ে ১০৪ জন, জয়পুরে ১১৮ জন, মুম্বইয়ে ১৬৪ জন, চেন্নাইয়ে ১৬৪ জন, দিল্লিতে ৪৭২ জন। অন্যদিকে গত এক বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ইউপিএ আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে। এই সংখ্যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।