অপুষ্টি রুখতে কেন্দ্রের নয়া ব্যবস্থা, রেশনে আসছে এই ধরনের চাল

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি মানুষের খাদ্য সুরক্ষিত করার জন্য আনা হয়েছে খাদ্য সুরক্ষা আইন। এই আইনের আওতায় রেশন ডিলারদের মাধ্যমে উপভোক্তাদের দেওয়া হয়ে থাকে প্রতি মাসে খাদ্য সামগ্রী। রেশনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে কেউ কেউ বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে থাকেন, আবার কেউ পেয়ে থাকেন স্বল্প মূল্যে।

Advertisements

দেশের মানুষদের রেশন ব্যবস্থায় মূলত চাল, ডাল, কেরোসিন সহ অন্যান্য বেশ কিছু সামগ্রী দেওয়ার রীতি রয়েছে। এবার এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অপুষ্টি ঠেকাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ফর্টিফায়েড চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই বিষয়ে দেশের প্রতিটি রাজ্যের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে এবং সেই মতো কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisements

অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে এই পুষ্টিভরা চাল বিতরণের প্রক্রিয়া। রাজ্যের ২১ টি জেলায় এই ধরনের চালের গুণগত মান যাচাই করার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। চালের গুণগত মান যাচাই করার পর সেই চাল অর্থাৎ ফর্টিফায়েড চাল পৌঁছে দেওয়া হবে সাধারণ উপভোগ তাদের হাতে।

Advertisements

সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ফর্টিফায়েড চাল আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে মিড ডে মিল থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ২০২১ সালের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এই ধরনের চাল দেশের প্রতিটি জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ২৯১ টি জেলায় সুরক্ষিত চাল বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রশ্ন হল এই ফর্টিফায়েড চালে কি এমন রয়েছে যাতে পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়? এই প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র নির্দেশিকা মেনে সাধারণ চালের সঙ্গে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সহ বিভিন্ন ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট’ মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই ফর্টিফায়েড চাল। প্রতি কিলো ফর্টিফায়েড চালে থাকে ৩৫২৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ১০ হাজার মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড এবং ১০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি।

Advertisements