নিজস্ব প্রতিবেদন : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি এখন ওষুধ মানুষের জীবনের নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। জ্বর থেকে শুরু করে গ্যাস অম্বল এবং অন্যান্য দূরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে বাড়িতে বাড়িতে এখন ওষুধ জায়গা করে নিয়েছে। তবে ওষুধের দাম নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় রোগী এবং তার পরিবারের সদস্যদের। এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি নয়া তালিকা প্রকাশ করা হলো।
অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দামের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে কেন্দ্র সূত্রে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের যে তালিকায় রয়েছে সেখানে সংযোজন এবং বিয়োজনের কথা জানিয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় ২৭ টি বিভাগের ৩৮৪ টি ওষুধের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ২৬টি ওষুধকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া ওষুধের সংখ্যা ৩৪।
অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় যে সকল ওষুধের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের দাম কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে। নতুন এই তালিকায় জায়গা পেয়েছে ইনসুলিন গ্লারগিনের মতো ডায়াবেটিসের ওষুধ কিংবা ডেলাম্যানিডের মতো টিবির ওষুধ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “২০২২ সালের অত্যাবশকীয় ওষুধের তালিকা প্রকাশিত হল। এর মধ্যে ২৭টি বিভাগের ৩৮৪টি ওষুধ রয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, টিকা, ক্যানসারের ওষুধ এবং আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ আরও সাশ্রয়ী হবে। যা রোগীদের খরচ কমাবে।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এর আগে জানিয়েছিলেন, ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন হলো দেশের মানুষকে সুস্থ থাকা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ২০২২ সালের অত্যাবশকীয় ওষুধের তালিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি তাদের দাম কমা নিয়েও আশা প্রকাশ করছেন দেশের নাগরিকরা।
Released the National List of Essential Medicines 2022.
It comprises 384 drugs across 27 categories.
Several antibiotics, vaccines, anti-cancer drugs and many other important drugs will become more affordable & reduce patients’ out-of-pocket expenditure. pic.twitter.com/yz0Fx8er78
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) September 13, 2022
অত্যাবশ্যকীয় এই ওষুধের তালিকায় যে সকল ওষুধ রয়েছে সেগুলি হল হৃদরোগের ওষুধ, সংক্রমণ প্রতিরোধী ওষুধ, হরমোন, কান, নাক, গলা ও গ্যাসট্রোইনটেস্টিনালের সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধ, প্যারাসিটামল, স্ট্রেপ্টোমাইসিন, লোরাজেপামের মতো ওষুধ ইত্যাদি।