নিজস্ব প্রতিবেদন : একসময় ঘর সংসার সব থাকলেও সেই সব ত্যাগ করে সন্ন্যাসী হয়েছেন এক ব্যক্তি। সন্ন্যাসী হওয়ার পর ১৭ বছর তিনি গাছের উপর কাটিয়েছেন। অবিশ্বাস্য হলেও এইরকমই এক সন্ন্যাসীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে নবদ্বীপে।
নবদ্বীপের এই সন্ন্যাসীর নাম হলো মাচান বাবা। সন্ন্যাসী হওয়ার আগে তার নাম ছিল শ্যামল দাস। তিনি পেশায় ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রি হিসেবে এলাকায় তার বেশ নাম ডাকছিল এবং এই পেশায় তিনি বেশ পটু। কিন্তু ১৭ বছর আগে তিনি সংসার ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
সন্ন্যাস গ্রহণ করার পর নবদ্বীপে গঙ্গার পাড়ে রানীর চড়া এলাকায় থাকা জঙ্গলে একটি কদম গাছের উপর মাচা তৈরি করেন। নিজের কাঠমিস্ত্রির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সেই মাচার মধ্যেই একটি ঘর তৈরি করেন তিনি। সেখানেই বসবাস করছেন ১৭ বছর ধরে। রান্না, খাওয়া দাওয়া সবকিছুই হয়ে থাকে ওই গাছের উপর থাকা ঘরে। সেখানে সাপ, পোকামাকড় সহ অন্য জন্তুদেরও আসতে দেখা যায় বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে সেসবকে তিনি ভয় পান না, বরং তাদের সঙ্গেই আনন্দে রয়েছেন।
তিনি এইভাবে গাছের উপর থাকার জন্য কেন ঘর তৈরি করলেন? এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে, প্রথমে তিনি মাটিতেই বসবাস করতেন। কিন্তু বর্ষার সময় বৃষ্টি হলে প্রচণ্ড সমস্যা হতো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গাছের উপর থাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। প্রতি রবিবার তিনি শহরে ভিক্ষা করতে যান এবং সেই ভিক্ষা করে যা পেয়ে থাকেন তা দিয়েই রান্না করে তার চলে যায়।
ওই সন্ন্যাসীর গাছের উপর থাকা ঘরে কোনরকম আলো অথবা অন্য কিছু না থাকলেও রান্নার জন্য সরঞ্জাম রয়েছে। এছাড়াও রান্নার জন্য রয়েছে একটি স্টোভ। এছাড়াও তার কাছে রয়েছে একটি রেডিও। একজন তাকে ভালোবেসে এই রেডিও দিয়েছিলেন এবং সেই রেডিওতে তিনি মাঝে মাঝে খবর শোনেন আর গান শোনেন।