পকেটে টান পড়বে যাত্রীদের, সুপারফাস্ট তকমায় নাম জড়ালো ১৩০টি ট্রেনের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কাজে হোক অথবা ভ্রমণ, অধিকাংশ মানুষকেই ট্রেনের উপর নির্ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে দেখা যায়। প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ রেল পরিষেবার উপর নির্ভর করে যাতায়াত করে থাকেন বলে রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। তবে এবার এই গণপরিবহনের মেরুদন্ডে যাত্রীদের পকেটে টান পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

ভারতীয় রেলের তরফ থেকে সম্প্রতি দেশের ১৩০ টি মেল এক্সপ্রেসকে সুপারফাস্ট ট্রেনে পরিণত করা হয়েছে। রেলের এই সিদ্ধান্তের ফলে এই সকল ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণীর টিকিটের দাম আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের তুলনায় এই সকল ট্রেনগুলির যাত্রীদের পকেটে টান পড়াটাই স্বাভাবিক।

Advertisements

সুপারফাস্ট তকমা পাওয়া এই সকল ট্রেনগুলির এসি-১ ও এক্সিকিউটিভ ক্লাসে যাত্রী পিছু টিকিটের ভাড়া বেড়েছে ৭৫ টাকা। এসি-২, ৩, চেয়ার কারে বেড়েছে ৪৫ টাকা এবং স্লিপার ক্লাসে যাত্রী পিছু ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে কোনও একটি PNR (ছয় যাত্রী) বুকিংয়ে যাত্রীদের এসি-১ এ ৪৫০ টাকা, এসি-২ এ ২৭০ টাকা, এসি ৩ ও স্লিপার ক্লাসে ১৮০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে।

Advertisements

১ অক্টোবর থেকে এই নতুন ভাড়া এবং সুপারফাস্ট তকমা চালু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে। তবে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও মানোন্নয়নের দিক দিয়ে কোন উন্নয়ন হয়নি বলেও অভিযোগ। ক্যাটারিং অথবা যাত্রী নিরাপত্তা কোন দিক দিয়েই বাড়তি সুবিধা পাবেন না এই সকল ট্রেনের যাত্রীরা। তবে তা হলেও কেন এই সকল ট্রেনগুলিকে সুপারফাস্ট তকমা দেওয়া হল এবং ভাড়া বৃদ্ধি করা হলো?

এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলের নিয়ম অনুসারে জানা যাচ্ছে, যে সকল ট্রেন গড়ে ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার গতিবেগে চলাচল করে সেই সকল ট্রেনগুলিকে সুপারফাস্ট সময় সারণীতে বিবেচনা করা হবে। এক্ষেত্রে মানোন্নয়নের দিক দিয়ে কোন উন্নতি না হলেও গতির দিক দিয়ে উন্নতি হলেই তা সুপারফাস্ট হিসাবে বিবেচিত হবে।

Advertisements