নিজস্ব প্রতিবেদন : কানাডার আবহাওয়া গবেষণাগারের পূর্বাভাসকে সত্যি করে একটি সাইক্লোন যে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে তা নিয়ে কোন সংশয় নেই। ইতিমধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।
তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপ, পরে অতি গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই জানানো হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার অর্থাৎ কালীপুজোর দিন থেকেই দুর্যোগ নেমে আসবে বাংলার বুকে। বাংলার বুকে দুর্যোগ নেমে আসার যে সংকেত মিলেছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে তার মোকাবিলায় নড়েচড়ে বসলো নবান্ন।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের বুকে যে বিধ্বংসী সাইক্লোন আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী নবান্নের তরফ থেকে তার মোকাবিলা করার জন্য সমস্ত রকম বন্দোবস্ত ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দীপাবলি এবং কালীপুজোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে যারা ছুটিতে রয়েছেন তাদের ২২ অক্টোবর কাজে যোগ দিতে হবে।
রাজ্য সরকার সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে জানান, ‘আকাশের দিকে তাকাতে হচ্ছে, যেভাবে ফোরকাস্ট হচ্ছে। কালীপুজো খুব বৃষ্টি হবে। সব কর্মীদের ছুটি বাতিল। আগামিকাল অফিসারদের নিয়ে বৈঠক আছে।’
আবহাওয়ার পরিস্থিতি এখন যেদিকে তাতে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উড়িষ্যা উপকূল ঘেঁষে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আসতে পারে। এ পর্যন্ত যে পরিস্থিতির বিষয়ে জানা গিয়েছে তাতে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার থাকতে পারে। তবে এরপরেও শক্তি বৃদ্ধি হবে কিনা তা শনিবার ভালোভাবে পূর্বাভাস পাওয়া যাবে।