মা কালী বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময়ে ঠান্ডা হাওয়া আভাস দিয়ে গেছে শীতকাল আসছে। আর শীতকাল এলেই সাধারণ মানুষের লেপ-তোষক, সোয়েটার-জ্যাকেট সবকিছুই তৈরি করা বা কেনার হিরিক পড়ে যায়।
ফলস্বরূপ, লেপ-তোষক-এর কারিগররাও এই সময় ভালো মতোই উপার্জন করেন। তবে জানেন কি এই লেপ তৈরি করায় লাল কাপড় কেন ব্যবহার করা হয়? এই লেপ বানানোয় লাল কাপড় ব্যবহার করার পিছনে কি কারণ রয়েছে জানতে হলে প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়ুন।
শীতকাল মানেই মানুষের কাছে লেপ-তোষক রোদে দেওয়ার দিন। লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রত্যেক লেপ-তোষকেই লাল রঙের আভায় মোরা থাকে। কিন্তু কারণ সবার কাছেই অজ্ঞাত। চলুন সেই কারণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
সূত্র মাধ্যমে জানা গিয়েছে, অতীতে মুর্শিদাবাদের নিজস্ব এই শিল্প ছিল সর্বত্রই। কার্পাস তুলোর বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙে ডুবিয়ে মোলায়েম সিল্ক বা মখমলে সিল্কের মধ্যে ওই তুলো ভরা হত। আর সেই মখমলে সিল্কের রং ছিল লাল এবং তাতে আতরও দেয়া হতো। সেই কারণে কার্পাস তুলোর বীজ ছাড়িয়ে লাল রঙে ডোবানো হতো। বর্তমানে বেশি দামের জন্য মখমলের কাপড় হয়তো ব্যবহার করা হয় না। তবে সেই লাল রং-এর কাপড় ব্যবহারে প্রথা চালু আছে।
তবে এই লাল কাপড় ব্যবহারে কোনো ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নেই। তবে আগেকারের নবাবরা এই লাল কাপড়ের লেপ-তোষক বানাত বলে সেই প্রথা আজও মেনে আসছেন সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে নবাব মুর্শিদ কুলি খান লাল রঙের মখমলের কাপড়ে লেপ-তোষকে তৈরি করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর জামাই নবাব সুজাউদ্দিন মখমলের বদলে সিল্কের কাপড় দিয়ে লেপ বানানো শুরু করেন। তখন থেকেই এই লেপের কাপড় লাল রঙের হয়ে আসছে। এছাড়া ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নাকি লাল রং লেপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও এর কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।