৬ মাস হতে চললো অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দিয়েছেন পরলোকের পথে। রেখে গিয়েছেন ছোট্ট মেয়ে ও স্ত্রী সংযুক্তাকে। মেয়েকে একা হাতেই মানুষ করছেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা। সম্প্রতি সংযুক্তার মুখেই শোনা গেল এক আক্ষেপের সুর। তাকে বলতে শোনা গেল অভিষেক চলে যাওয়ার পর কাছের মানুষেরা এখন আর সেভাবে খোঁজ নেয় না।
গত ২৪শে এর মার্চ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। শুটিং ফ্লোরেই কাজ করতে করতে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিকে আঁকড়েই বেঁচে রয়েছেন অভিনেতার স্ত্রী সংযুক্তা। মেয়ে ডলের যাবতীয় দায়িত্ব এখন তারই কাঁধে। তবে তিনি মনে করেন অভিষেক সব সময় তাদের আশেপাশেই আছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক পত্নী সংযুক্তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এখন কি কাছের মানুষজন আগের মত খোঁজখবর নিচ্ছে? তাতে সংযুক্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘কেউই খোঁজ নেয় না’। মায়ের পাশে বসে মাথা নাড়তে দেখা যায় ডলকেও। তিনি আরও বলেন, ‘এটা খুব একটা গুরুত্ব পায় না আমার কাছে। তোমরা আমায় দেখছই। আর আমার বেসটা মুম্বইতে। ওখানে সবাই খুব স্বতন্ত্র জীবন কাটায়। তাই ওটার অভ্যেস আছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে একাধিক ব্যাঙ্কে কাজ করেছি। কাজের সূত্রে আমার অভ্যেসও আছে টিম লিড করার, সবাইকে পথ দেখানোর। তাই জীবন যখন আমাকে এখানে নিয়ে এল সামলে নিতে সমস্যা হয়নি।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘দিনের শেষে তুমি কী করে জিনিসটা চালাচ্ছ। সঠিক পথে থাকাটা দরকার। সৎ থাকো, সঠিকভাবে চলো, তাহলেই সব ঠিক থাকবে। কে যোগাযোগ করল কি করল না তা সত্যি গুরুত্ব পায় না। আমার এখন সব উদ্দেশ্য হচ্ছে ডলকে দাঁড় করানো। আমি তো বলি তুই ভালো ভাবে দাঁড়িয়ে যা, তারপর আমি ওকে যোগ দেব। তবে ডলুমা যতক্ষণ না বড় হবে কোথাও যাচ্ছি না।’
প্রসঙ্গত, পুজোর দিনগুলিতে কলকাতায় ছিলেন না সংযুক্তা ও তার মেয়ে। গত বছর অব্দি অভিষেক বেঁচে থাকাকালীন তাদের বাড়িতে ধুমধাম করে দুর্গাপূজা হত। এবার আর অভিষেক নেই। তাকে ছাড়া কলকাতার বাড়িতে পুজো কাটানো সম্ভব ছিল না। তাই মা-মেয়ে দুজনে কলকাতা ছেড়ে চলে যান কেরালা। পুজোর আলোর সমস্ত রোশনাই এর থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান তারা।