আধুনিক যুগে মানুষ অবসর সময় পেলেই কোথাও না কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছোটখাটো ছুটি পেলেই বাঙালিকে যেতে দেখা যায় দিঘার সৈকতে। বর্তমানে বাঙালিরা ট্রেনের মাধ্যমে খুব সহজেই দিঘায় পৌঁছে যেতে পারে এবং এক-দুদিনের এই টুর বাঙালীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। তবে সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, এই দিঘাকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও আকর্ষণ করে তোলার জন্য সিঙ্গাপুরের আদলে ‘ওয়াটার পার্ক’ তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে।
দিঘাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রশাসনের তরফে এই অভিনব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে হিড়কো-কে। এই প্রকল্প দিঘার কোথায় তৈরি হবে সেই সম্পর্কে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়নের পর্ষদকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এই প্রসঙ্গে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক মানস কুমার মন্ডল বলেন, ‘হিড়কো থেকে জমি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। হিড়কোই এই প্রকল্পের DPR তৈরি করবে।’
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পর্যটকদের দিঘার প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য দিঘায় এই নতুনত্ব পরিকল্পনার চেষ্টা চলছে।এই ‘ওয়াটার পার্কে’ প্রবেশ করতে হলে পর্যটকদের বা সাধারন মানুষকে সেখানে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে। ফলস্বরূপ, সেখানকার প্রশাসনের লাভই হবে। শুধু সিঙ্গাপুরের আদলে ‘ওয়াটার পার্ক’-ই নয়, পর্যটকদের দিঘার প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য দিঘায় আরো নতুন নতুন স্থাপত্য পরিকল্পনার কথাও জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি ‘দিঘাশ্রী’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে দিঘায় আরো হাই-ফাই হোটেল তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া কলকাতা থেকে দিঘায় যাতে মানুষ খুব সহজে পৌঁছাতে পারে তার জন্য হেলিকপ্টারের পরিষেবা চালু করবেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া দিঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং মেরিন ব্রিজ তৈরি হওয়ার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানা যায়। অর্থাৎ আম্ফান এবং ইয়স ঝড়ে দিঘার সৈকত লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ায় আবার নতুন করে দিঘার সৈকতকে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানা যায়।