একবার বিনিয়োগ করে মাসে মাসে ৭০ হাজার টাকা, SBI দিচ্ছে দারুণ সুযোগ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসাবে যার নাম রয়েছে সেটি হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ৪৫ কোটির বেশি মানুষ এই ব্যাংকের গ্রাহক। যে কারণে দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে থাকা এই ব্যাংকের গ্রাহকদের ব্যাংকের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে চাহিদার কমতি নেই।

Advertisements

এবার এই বৃহত্তম ব্যাংকের তরফ থেকে দারুণ একটি সুবিধা নিয়ে হাজির। যেখানে একবার বিনিয়োগ করে মাসে মাসে ৭০ হাজার টাকা রোজগার করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ নয়, বরং বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকের সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে। বিষয়টি অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও কিন্তু সত্যি।

Advertisements

এককালীন বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে ব্যবসার ক্ষেত্রে এবং এর পরেই মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হতে পারে। এর জন্য নিতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ATM-এর ফ্র্যাঞ্জাইজি। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতি মাসে উপার্জন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিনিয়োগকারীকে বেছে নিতে হবে উপযুক্ত ব্যবসা চালানোর জায়গা।

Advertisements

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হলেও তারা কিন্তু এটিএম ইন্সটল করে না। বরং তারা বেসরকারি কিছু সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই এটিএম ইনস্টলেশন করার কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে Tata Indicash, Muthoot ATM এবং India One ATM-এর। এই ধরনের ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আগ্রহী ব্যক্তিকে ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদন করার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে নকল ওয়েবসাইট নিয়ে। কারণ এখন এই ধরনের নকল অনেক ওয়েবসাইট বাজারে চলছে।

এটিএম কেবিন ইন্সটল করার জন্য সবচেয়ে কম ৫০ থেকে ৮০ বর্গমিটার জায়গার প্রয়োজন। অন্য কোন এটিএম থাকলে তা থেকে যেন ১০০ বর্গমিটার দূরে থাকে এই এটিএম এবং এমন জায়গায় তা থাকতে হবে যেন সবার নজরে পড়ে। পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা, কংক্রিটের স্থায়ী বিল্ডিং, -SAT ইনস্টলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নো-অবজেকশন শংসাপত্র। প্রয়োজন হবে আবেদনকারীর আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, বিদ্যুতের বিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ব্যাঙ্কের পাসবুক, ফটো, ই-মেল আইডি এবং ফোন নম্বর, জিএসটি নম্বর, আর্থিক নথিপত্র। সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে দিতে হবে ২ লক্ষ টাকা, ৩ লক্ষ টাকা রাখতে হবে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে। তবে মনে রাখতে হবে এটিএম ইন্সটল করার পর যত বেশি ট্রানজেকশন হবে তত বেশি লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যাবে। প্রতি ক্যাশ লেনদেনের ক্ষেত্রে ৮ টাকা এবং অন্য লেনদেন যেমন ব্যালেন্স চেক এবং ফান্ড ট্রান্সফার পিছু ২ টাকা করে পাওয়া যাবে।

Advertisements