দুই বার ক্যান্সার কে হারিয়ে ফিরে এসেছেন তিনি। তারপর নতুন করে আবার কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু তারপর আবারও ঘটলো বিপত্তি। গত ১ নভেম্বর নিজ বাসভবনে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। যার পর দেখতে দেখতে ১১ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই রয়েছেন ‘জিয়ন কাঠি’ নায়িকা। এখনো অবধি জ্ঞান ফেরেনি তার, কোমায় রয়েছেন তিনি।
হাওড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তার শারীরিক অবস্থা আগে থেকে অবনতি না হলেও এখনও তিনি বিপন্মুক্ত নন। তারই মাঝে মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে কাতর আর্তি জানালেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। ১লা নভেম্বর দুপুরে মায়ের পাশে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন অভিনেত্রী। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই অসাড় হয়ে যান তিনি। সেই সাথে বমিও হয় তার। এ কথা আগেই জানিয়েছেন, শিখা দেবী।
বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে সকলের কাছে কাতর আবেদন জানান শিখা দেবী। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার সন্তানের জন্য, ঐন্দ্রিলার জন্য তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করুন। যে যার দেবতা, আল্লাহ-কে। আমার মতো মা-এর কাতর আবেদন রইলো’। সেই সাথে হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে থাকা ঐন্দ্রিলা ও পাশে দাঁড়ানো সব্যসাচীর একটি ছবিও শেয়ার করেন। যদিও এই ফটোটি ঐন্দ্রিলার দ্বিতীয়বার ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ের ছবি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঐন্দ্রিলাকে ট্রাকিয়াস্টমি ও সি-প্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা ‘এক্সটার্নাল স্টিমুলি’ সিস্টেমের মাধ্যমে অভিনেত্রীকে সুস্থ করবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত মঙ্গলবার যে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সেটিও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু দুঃশ্চিন্তার বিষয় হলো তার আবার নতুন করে জ্বর এসেছে। যেটি মোটেই ভালো বলে মনে করছেন না ডাক্তার মহল। তার শরীরিক পরিস্থিতির উপর প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে।
তবে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কোন নেতিবাচক খবর ছড়াতে দিতে চান না প্রেমিক সব্যসাচী। চরম উদ্বেগের মাঝেই সোমবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছিলেন ‘সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা’। ঘটনার দিন দুপুরে অভিনেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার পরই সব্যসাচীকে ফোন করেন ঐন্দ্রিলার মা, শিখা দেবী। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে ছোটা হয় হাওড়ার আন্দুলের এক বেসরকারী হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী। ওইদিন রাতে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন ঐন্দ্রিলা। এখন সকলের একটাই প্রার্থনা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ‘জিয়ন কাঠি’ নায়িকা।