নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হঠাৎ করে নোট বন্দির ঘোষণা করেন। তার এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যায় পুরাতন ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। পরিবর্তে বাজারে আসে নতুন ৫০০ টাকার নোট এবং ২০০০ টাকার নোট। এছাড়াও খুচরোর সমস্যা সমাধান করার জন্য পরবর্তীতে ২০০ টাকার নোট আনা হয়। তবে যত সমস্যা দেখা যায় ২০০০ টাকার নোট নিয়ে।
প্রথমদিকে ২০০০ টাকার নোটের প্রতি মানুষের আকর্ষণ অনেক থাকলেও পরবর্তীতে খুচরো নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এই নোটের চাহিদা দিন দিন কমতে থাকে। আবার সাম্প্রতিককালে বাজারে এক প্রকার এই নোটের দেখা মিলছেই না। স্বাভাবিকভাবেই ২০০০ টাকার নোট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একটি সংবাদ মাধ্যম আরটিআই করে ২০০০ টাকার নোট সম্পর্কিত তথ্য হাতে পেয়েছে।
ওই সংবাদমাধ্যমের আরটিআই-এর পরিপ্রেক্ষিতে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার রীতিমতো অবাক করা। পাশাপাশি এই তথ্য না জানলে রীতিমত পস্তাতে হবে আপনাদের। তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ২০০০ টাকার ৩৫৪২৯.৯১ কোটি ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। ২০১৭-১৮ সালে ছাপানো হয়েছিল ১১১৫.০৭ কোটি নোট। ২০১৮-১৯ সালে সেখানে ছাপানো হয় মাত্র ৪৬৬.৯০ কোটি নোট। কিন্তু এরপর থেকে আর কোন অর্থ বর্ষে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হয়নি।
কিন্তু কেন ছাপানো হয়নি? কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ২২৭২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪৪৮৩৪ টি। প্রতিবছর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে জাল নোটের সংখ্যা। পরিস্থিতি এমন দিকে পৌঁছে গিয়েছে যে এই জাল নোটের সংখ্যা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে পুরোপুরি ভাবে তুলে নেওয়া হবে কিনা তা সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে এখনো কিছু জানা যায়নি। যদিও তুলে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের উপর সেই ভাবে কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ হঠাৎ করে ২০০০ টাকার নোট বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার। পরিবর্তে তা তুলে নেওয়া হলে ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে এবং গ্রাহকরা তা টের পাবেন না।