নিজস্ব প্রতিবেদন : হামেশাই রাস্তাঘাটে মোটরবাইক নিয়ে যাওয়ার সময় দেখা যায় বিভিন্ন এলাকার কুকুর পিছন তারা করতে শুরু করে। কুকুরের সেই তাড়া খেয়ে ভয়ে মোটর বাইক চালক এমনভাবে মোটরবাইক চালিয়ে থাকেন যে বহু সময় তাদের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। তবে এই সকল কুকুরের তাড়া থেকে বাঁচার ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু টোটকা।
দেখা যায় রাস্তাঘাটে কুকুর তাড়া করলে ভয়ে একজন মোটরবাইক চালক মোটরবাইকের গতি যত বাড়িয়ে দেন ততই গতিবেগে ওই কুকুর তাড়া করে আসে। সেক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক উপায়ে ওই কুকুরকে শান্ত করার জন্য মোটর বাইকের গতি কমাতে হবে এবং মোটরবাইকের গতি কমলে ওই কুকুর আকর্ষণ হারাবে। সহজেই তাকে শান্ত করা সম্ভব।
তবে মোটর বাইকের গতি কমানোর পরেও অনেক সময় দেখা যায় কুকুরের গতি কমানোর ক্ষেত্রে সমাধান মেলে না। সেক্ষেত্রে কুকুরটিকে উত্তেজিত হওয়া থেকে থামানোর জন্য দাঁড়িয়ে যেতে হবে। ধীরে ধীরে নামতে হবে এবং কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করলেও আতঙ্কিত হলে চলবে না। কুকুর একটু শান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে।
সব সময় মনে রাখতে হবে, ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে মোটরবাইক আরোহী তার মোটরবাইকের গতিবেগ যত বৃদ্ধি করবেন ততই পিছন ধাওয়া করা কুকুরটিরও হিংসা বাড়বে। এই হিংসা বাড়লেই সেও নিজের সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করবে এবং সেই সময়ই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
সাম্প্রতিককালে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের যে সকল দুর্ঘটনাগুলি ঘটে থাকে তার মধ্যে অধিকাংশ দুর্ঘটনায় ঘটে মোটরবাইক চালকের বিচক্ষণতার অভাবে। কারণ কুকুরের মত প্রাণীরা অবলা। আবার কিছু কিছু কুকুরের স্বভাব রয়েছে চলন্ত গাড়ির পিছন ধাওয়া করা। এ সকল ক্ষেত্রে সব সময় গাড়ি আসতে চালিয়ে পরিস্থিতির মোকাবেলা করাই হলো আসল টোটকা।