প্রথমে শোনা গিয়েছিল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা একটু উন্নতির পথে। তবে হঠাৎই খবর এসেছে যে ঐন্দ্রিলা শর্মার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। গতকাল রাতে তিনি পরপর অন্তত ১০ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
গতকাল হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় যে রাতে পর পর প্রায় দশবার হৃদরোগে অর্থাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাকে আপাতত সিপিআর দেওয়া হয়েছে। এখনো অবধি ভেন্টিলেশন সাপোর্টেই তার প্রাণ বায়ু টিপটিপ করে চলছে।
কিন্তু সব রকম লাইফ সাপোর্টথাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। চিকিৎসকরা সারা ক্ষণ তাঁর সাথে ছায়া সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বারা। আগের দিন শোনা গিয়েছিল হঠাৎ এই অভিনেত্রীর নাকি হার্টবিট প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। রক্তচাপ স্বাভাবিকের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছিল। সকলে বুক বেঁধেছিল অলৌকিকের আশায়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে।
বস্তুত এদিন রাতে জানা যায় অভিনেত্রীর রক্তচাপ খুবই উঠানামা করছে। সংক্রমণ কমানোর জন্য দেওয়া হয়েছে কড়া কড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে অ্যান্টিবায়োটিক এর মাত্রা আরো বাড়ানো হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঐন্দ্রিলা চোখ খুলছেন না এবং তার শরীরে পুরোপুরি অসাড় হয়ে আছে। অভিনেত্রীর মুখমন্ডলেও কোনরকম কোন প্রতিক্রিয়ার দেখা নেই। এরপর শনিবার সন্ধ্যা বেলা থেকে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা ক্রমশই অবনতির দিকে যেতে থাকে।
তার পাশাপাশি আচমকা শনিবার রাতেই দেখা যায় ঐন্দ্রিলার বিশেষ বন্ধু অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী তার ফেসবুক থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা জনিত সমস্ত পোস্ট মুছে দিয়েছেন। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু কেন তিনি এসব পোস্ট মুছে দিলেন তা খোলসা করে কিছু জানা যায়নি। আর সব্যসাচীর এরকম ভাবে ফেসবুক পোস্ট মুছে দেওয়াতে সৃষ্টি হয়েছে অভিনেত্রী দের মধ্যে।