টানা ২০ দিন চলেছিল এক অসম যুদ্ধ। তার সাথে সাথে চলেছিল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মন প্রাণ দিয়ে প্রার্থনা। চেনা-অচেনা সকল মানুষেরই একটাই উদ্দেশ্য ফিরে আসুক ঐন্দ্রিলা শর্মা সকলের মাঝে। কিন্তু সবার ভালোবাসাকে ঠুকরে সকলকে চিরদিনের মত বিদায় জানিয়ে, না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ঐন্দ্রিলা।
লড়াইটা শুধুমাত্র কুড়ি দিনেই সীমাবদ্ধ নয়। দীর্ঘ বছর ধরে মারণ রোগের সঙ্গে চলছিল ধুন্ধুমার যুদ্ধ। ২০১৭ সালে তিনি প্রথম কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। সেই বছরই ‘ঝুমুর’ সিরিয়ালের মাধ্যমে তিনি স্পটলাইটে আসেন। এই ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিক এই পরিচয় হয় সব্যসাচী রায় চৌধুরীর সাথে। সেদিনের স্ক্রিন সঙ্গী ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে তার বাস্তব জীবনের পরম বন্ধু।
এরপর অভিনয় করেন একটি বিখ্যাত ধারাবাহিক ‘জিয়নকাঠি’-তে, যা প্রায় ২০২১ সাল পর্যন্ত জনপ্রিয়তার সাথে চলেছিল। শুধু ধারাবাহিক নয়, চলচ্চিত্র জগতেও এই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি যথেষ্ট নাম ডাক তৈরি করেন। ২০২০ সালে টলিউডে তার প্রথম প্রবেশ হয় ‘আমি দিদি নাম্বার ওয়ান’ সিনেমাটির হাত ধরে। এই সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মিঠাই সিরিয়ালের সিদ্ধার্থ।
তার দ্বিতীয় ছবি ‘লাভ ক্যাফে’। এই সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন হৃতজিৎ মুখার্জি। পরপর দুবার কর্কট রোগকে হারিয়ে যখন তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন, ধীরে ধীরে আবারো অভিনয় জগতে প্রাণোচ্ছল হয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেন।
মৃত্যুর কিছুদিন আগেও ‘ভাগার’ বলে একটি ওয়েব সিরিজে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেন। এবং সম্প্রতি বেশ ভালো ভালো কিছু কাজে মনোনিবেশও করেন। ইতিমধ্যে তার গোয়া যাওয়ারও কথা ছিল অভিনয়ের সূত্রে। কিন্তু তার অভিনয় যাত্রা হঠাৎ করে যেন এখানেই থেমে গেল।