নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের উঠতি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা গত রবিবার নিয়তির খেলায় বিলীন হলেন। তার এইভাবে মাত্র ২৪ বছর বয়সে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে আপামর অনুরাগী থেকে বহরমপুরের বাসিন্দারা। আর এরপর থেকেই ছোটবেলার টুকরো টুকরো স্মৃতি আঁকড়ে ধরছে তাদের।
২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঐন্দ্রিলার শরীরে প্রথম বোন ম্যারো ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে তা জানতে পারা যায়। সেই দিনটি ছিল তার ১৮ তম জন্মদিন। সেই সময় তিনি চিকিৎসা করাতে দিল্লি ছোটেন এবং চিকিৎসকেরা মাত্র ৬ মাস সময় দেন তাকে। কিন্তু তিনি তার অদম্য লড়াইয়ে ৬ বছর পার করে দিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ২০ নভেম্বর।
গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। বারবার হার্ট অ্যাটাক তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। তার অনুরাগীরা আগের মতই জীবন যুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে তিনি ফিরে আসবেন এমন আশা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
ঐন্দ্রিলার মারা যাওয়ার পর তার ছোটবেলার সব স্মৃতি আঁকড়ে ধরছে তার বাবা মা দিদি ঐশ্বর্য এবং কাছের মানুষ সব্যসাচীকে। সব্যসাচী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে দিদি ঐশ্বর্য তার ছোটবেলার বেশ কিছু ছবি instagram সহ অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
ঐন্দ্রিলার ছোটবেলার সেই সকল ছবি দেখে এখন চোখের কোন ভিজছে অনুরাগীদের। আবার এই সকল ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, আর দেখে কি হবে! সে তো আর নেই। সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। সবাইকে ছেড়ে ঐন্দ্রিলা চলে গেলেও তার অভিনয় তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।