নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দিন যত ডিজিটালের দিকে এগোচ্ছে ততই মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে উপর নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছেন। যে কারণে এখন আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবকিছুই এসে পৌঁছেছে ডিজিটাল মাধ্যমে। ডিজিটাল মাধ্যমে কেনাকাটার ক্ষেত্রে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট সহ বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে যেগুলি এখন জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে। তবে এই সকল জনপ্রিয়তার শিখরে থাকা বিপণনী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগেরও খামতি নেই।
দেখা যায় এই সকল সংস্থাগুলির কোন প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে যে রিভিউ দেওয়া হয়ে থাকে তাতে ভূয়সী প্রশংসা করা হয়ে থাকে। সেই রিভিউ দেখে বহু গ্রাহক জিনিসপত্র কেনেন। কিন্তু গচ্ছের টাকা খরচ করে যখন সেই জিনিস বাড়িতে আসে তখন দেখা যায় প্রশংসার ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেনি প্রোডাক্টটি। এক প্রকার মানুষকে বোকা বানিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নড়ে চড়ে বসলো কেন্দ্র।
আসলে এই ধরনের সংস্থাগুলি অনেক ফেক রিভিউ তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে দিয়ে থাকে এবং সেই সকল প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করে। এই ধরনের ফেক রিফিউ যাতে কোন প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা না হয় তার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে নয়া বিধি আরোপ করা হচ্ছে। নতুন এই নিয়ম খুব তাড়াতাড়ি চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে এবং তা চালু হলে এই সকল অনলাইন বিপণনী সংস্থাগুলির মানুষকে বোকা বানিয়ে জিনিসপত্র বিক্রির দিন শেষ হয়ে যাবে।
নতুন নিয়ম অনুসারে এই সকল অনলাইন বিপণনী সংস্থাগুলিকে স্বতঃপ্রণোদিত ঘোষণা করতে হবে যে সকল রিভিউয়ের ক্ষেত্রে কোনও পণ্যের রিভিউ লেখার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে বা ‘পেড কনজিউমার রিভিউ’ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। যাতে মিথ্যা প্রচার করে কোন প্রোডাক্টের ফাঁদে গ্রাহকরা না পড়েন। গ্রাহকরা নিজে বুঝে সমস্ত কিছু দেখে তারপরে এই জিনিসপত্র কিনুক এমনটাই চায় কেন্দ্র।
নতুন এই নিয়ম চালু হবে আগামী ২৫ নভেম্বর এমনই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। যদিও প্রাথমিকভাবে এই বিষয়টি সংস্থার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে অর্থাৎ সংস্থা চাইলে তা প্রকাশ করতে পারে আবার নাও করতে পারে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।