নিজস্ব প্রতিবেদন : লাদাখে ৩০ মাস সংঘাত চলার পর এবার চীনের নজর অরুণাচলে। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ের ইয়াংৎসে এলাকায় চীনের আগ্রাসনের পাল্টা হিসাবে মোক্ষম জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে প্রশ্ন হল এই এলাকার কেন চীনের এত নজরে?
চীনা সেনাদের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে, ইয়াংৎসে যে ভারতীয় সেনাদের ছাউনি রয়েছে সেই ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। চিন সেনাদের দাবি বাস্তবায়িত করার জন্য ৩০০ সেনা নিয়ে তারা অরুনাচল প্রদেশে আক্রমণ করে। কাঁটা লাগানো বিশেষ অস্ত্র এবং লাঠি সঙ্গে নিয়ে চিন সেনারা এই আক্রমণ হানায়। গত ৯ ডিসেম্বর এমন ঘটনা ঘটে, তবে এই ঘটনায় ভারতীয় সেনারা সেইভাবে কেউ আহত হননি।
১৯৬২ সালে যুদ্ধের পর চীন সেনাদের তরফ থেকে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সংলগ্ন বিরাট একটি এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছিল। ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা ওই এলাকা অবশ্য পরে তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। কারণ ওই এলাকা ম্যাকমোহন লাইনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। এই এলাকা দখলে রাখলে চীন বেশ কিছু সুবিধা পাবে। যে কারণে এই এলাকাকে ফের চীনের তরফ থেকে বেছে নেওয়া হচ্ছে।
চীনের মূল লক্ষ্য হলো তাওয়াং সীমান্ত নিজেদের দখলে আনা। এই এলাকা তাদের দখলে এলে তিব্বত এবং এলএসি দুই জায়গা নজরদারি রাখতে সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি দলাই লামার সঙ্গে তাওয়াংয়ের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৫৯ সালে চীনের দখলে থাকা তিব্বত থেকে পালিয়ে এসে দলাই লামা অরুণাচল প্রদেশে আশ্রয় নেন।
অন্যদিকে তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের কৌশলগত দিক বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভুটান সীমান্ত এবং চাম্বা থেকে নেপাল সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত। অন্যদিকে চীন দাবি করে অরুণাচল প্রদেশের বড় একটি অংশ তাদের। যে কারণে দুটি সেনা পোস্ট দখল করতে চাইছে চীন।